নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রোহিঙ্গাদের দেখতে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ফেনীতে হামলার মুখে পড়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
শনিবার বিকালে চৌদ্দগ্রাম পেরিয়ে ফেনী জেলার সীমানার শুরুতে মোহাম্মদ আলী বাজারে এই হামলা হয়। ফেনী জেলা শহরের ৫ কিলোমিটারের মতো আগে এই স্থানটি।
খালেদা জিয়ার গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর একদল যুবক ওই হামলা চালায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গণমাধ্যমেরসহ বহরের অন্তত ৩০টি গাড়ি।
একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই, যমুনা, একুশে, এটিএন নিউজ ও বৈশাখী টেলিভিশনের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন।
এছাড়া কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, যুগান্তর, যায়যায়দিন, গাজী টিভি, আমাদের সময়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হন।
এছাড়া বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার বলেন, তাদের নেতা-কর্মীবাহী ১০/১১টি গাড়ি ভাংচুর হয়েছে।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িসহ বহরের ৩০টির মতো গাড়ি মোহাম্মদ আলী বাজার অতিক্রমের পরপরই ১৫-২০ যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে সড়কে উঠে আসে। কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে।
হামলাকারী যুবকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের বহরের গাড়ি বেছে বেছে ভাংচুর করতে দেখা যায়। বহরের বাইরের প্রাইভেটকারসহ দূরপাল্লার কোনো গাড়িতে হামলা চালায়নি তারা।
একাত্তর টিভির ক্যামেরাপারসন আলম হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদন শফিক আহমেদ হামলায় আহত হন।
আলম ভাংচুরের ভিডিও ধারণ করতে গেলে একজন হামলাকারী তার উপর চড়াও জন। তিনি একাত্তর টিভির পরিচয় দিলে ওই যুবক নোয়াখালীর আঞ্চলিক টানে বলেন, “একাত্তর-মেকাত্তর বুঝি না, তুই ক্যামেরায় ছবি কিল্লাই তুললি? তোর ক্যামরা ভাঙি হালামু।”
হামলার শিকার সাংবাদিকরা পরে ফেনীর লালপুরের একটি হোটেলে এসে উঠলে সেখানেও একদল যুবক গিয়ে হুমকি দেয় বলে ওই সাংবাদিকরা জানান। তাদের হুমকির মুখে সাংবাদিকরা খাবার না খেয়েই হোটেল ছাড়েন।