সোমবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। সকাল ১০ টায় প্রথম জানাজা কাটাবন মসজিদে, দুপুর ১২ টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দ্বিতীয় জানাজা এবং দুপুর ১.৩০ সংসদ ভবনে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মরহুম এম কে আনোয়ারের শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমোবেদনা জানাতে মরহুমের বাসায় উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। রাত ৯টায় মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে রাত ৯টা ৪৬ মিনিটে এলিফ্যান্ট রোডের মরহুম এম কে আনোয়ারেরম বাসায় এসে উপস্থিত হন তিনি। এবং সেখান থেকে ১০টা ১৭ মিনিটে বাসা ত্যাগ করেন।
এসময় প্রায় আধা ঘন্টা তিনি মরহুমের স্ত্রী মাহমুদা আনোয়ার ও বড় ছেলে মাহমুদ আনোয়ার সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল, ড.খন্দকার মোশারফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধূরী এ্যানি সহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে এ নোতার মৃত্যুতে শোকবার্তা দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। শোকবার্তায় তিনি বলেন, দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ এম কে আনোয়ারের মৃত্যুতে তার পরিবারবর্গের মতো আমিও গভীরভাবে শোকাহত ও ব্যথিত হয়েছি। আমি তার আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
শোকবার্তায় খালেদা জিয়া আরো বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সবসময় থেকেছেন সামনের কাতারে। নিজ এলাকায় শিক্ষার প্রসার ও জনকল্যানমূলক কাজেও তার অবদান স্মরণীয়। তাই জনগণের নিকট প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার কারণেই আদর্শনিষ্ঠ এম কে আনোয়ার বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনকে বুকে ধারন করে এম কে আনোয়ার স্বদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অঙ্গীকারে বিএনপিকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।