বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে সেই মায়ের চিকিৎসা শুরু হলো। ‘দুমুঠো ভাতের জন্য ভিক্ষা করছে তিন পুলিশ কর্তার মা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ এবং সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের ফেসবুকে স্ট্যাটাস পোস্ট করলে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
এ সংবাদ প্রকাশ পর তাৎক্ষণিক তার চিকিৎসার দায়ভার নেয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন। বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায়কে মনোয়ারা বেগমের চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সোমবার সকাল ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে এসে তাৎক্ষণিক বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে দুপুর ১২ টায় সংসদ সদস্য টিপু সুলতান উপস্থিত থেকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করিয়েছেন। বর্তমানে মনোয়ারা বেগম শেবাচিম হাসপাতালের ৪র্থ তলায় অর্থোপেডিক বিভাগে ৪০৩ নম্বর কক্ষের বি-১৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগমের স্কুল শিক্ষিকা মেয়ে মরিয়ম সুলতানাকে মাকে অযত্নে-অবহেলায় রাখা ও খোঁজ-খবর না নেওয়ার অভিযোগে শোকজ করেছেন বাবুগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কেএম তোফাজ্জল হোসেন।
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে তিনি বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ মনোয়ারা বেগমকে আর্থিক সহায়তা করেন।
এছাড়াও তার পুলিশ পুত্রদ্বয়ের বিরুদ্ধে মাকে অযত্নে- অবহেলায় রাখার কারণে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।