আবারও বোলারদের ব্যর্থতা। দক্ষিণ আফ্রিকায় মাশরাফি মুর্তজা বল হাতে ভালো কিছু করতে পারলেন না শেষ ওয়ানডেতেও। অবশ্য ডেথ ওভারে আবারও সাফল্য পেয়েছে তারা। ৪৬ ও ৪৭তম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ব্যাটসম্যানকে ফেরান তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। কিন্তু ১০০ ছাড়ানো দুটি শক্ত জুটিতে দ্বিতীয় ওয়ানডের চেয়েও সমৃদ্ধ হয়েছে প্রোটিয়াদের স্কোরবোর্ড। ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করেছে স্বাগতিকরা। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৭০ রান।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা এবি ডি ভিলিয়ার্স শেষ ম্যাচে বেশিদূর যেতে পারেননি। বাফেলো পার্কে ২০ রানে তাকে মাশরাফি মুর্তজার ক্যাচ বানান রুবেল হোসেন। ৪৫.১ ওভারে তিনি আউট হওয়ার আগে ১৫ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছয় মারেন ডি ভিলিয়ার্স।
পরের ওভারে নবাগত উইলেম মুলডারকে (২) আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ডানহাতি এই পেসার ওই ওভারেই অ্যান্ডিল ফেলুকোয়াইয়োকে (৫) মুশফিকের ক্যাচ বানান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে তেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডি ককের উদ্বোধনী জুটিতে ১১৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৪৮ রানে লিটন দাসের ক্যাচ হন বাভুমা।
কিছুক্ষণ পর ডি কক বাংলাদেশি এই স্পিনারের শিকার। ৬৮ বলে ৭৩ রান করে ফিরতি বলে মিরাজকে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। অভিষেক হওয়া এইডেন মারক্রামকে সঙ্গে নিয়ে ১৫১ রানের দারুণ জুটি গড়েন ফাফ দু প্লেসি। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়ক ৯১ রানে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ওই ওভারেই মারক্রাম রান আউট হন ৬৬ রান করে।
ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান বেহারডিয়েন ৩৬ রান করেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে। এরপরই তাসকিন ও রুবেলের আঘাত, যেটা কিছুটা হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার রানের লাগাম টেনে ধরেছিল।
মিরাজ ও তাসকিন দুটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসের সফল বোলার।