মুসলিম বা খ্রিষ্টান সন্ত্রাসী বলে কিছু নেই। কারণ, কেউ যখন সন্ত্রাসকে আঁকড়ে ধরে, তখন তার কোনো ধর্ম থাকে না। যখন কেউ সন্ত্রাসী হয়ে যায়, সেই মুহূর্ত থেকে সে মুসলিম, খ্রিষ্টান বা অন্য যে ধর্মেরও হোক না কেন, তা থেকে বেরিয়ে আসে। গতকাল বুধবার ভারতের মণিপুর রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা এ কথা বলেন। সেখানে তাঁকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। ৮২ বছর বয়সী এই ধর্মীয় নেতা তিন দিনের সফরে সেখানে রয়েছেন। এনডিটিভি অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্বজুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার নিন্দা করেন দালাই লামা। তিনি মিয়ানমারে মুসলিম রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেন। তিব্বতের নির্বাসিত এই নেতা ১৯৫৯ সাল থেকে ভারতে আছেন। ধর্মীয় আধ্যাত্মিক এই নেতা ধর্মকে রক্ষা, অনুশীলন ও অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে সুস্পষ্ট তফাতটা তুলে ধরে বলেন, শেষেরটি কোনোমতেই ‘ভালো নয়’। তিনি বলেন, ভারতে বহু ধর্মের মানুষ রয়েছে। বিভিন্ন মানুষ ও সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসও ভিন্ন। এবং তাদের সেটাই রক্ষা করতে হবে। ভারত, চীন ও ভুটান সীমান্তের বিতর্কিত দোকলাম মালভূমি নিয়ে সম্প্রতি ভারত ও চীনের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এ বিষয়ে দালাই লামা বলেন, ‘ভারত ও চীন দুটি দেশই বিশাল শক্তিধর। একে অন্যকে হারানোর ক্ষমতা নেই। দুটি দেশকেই একে অপরের পাশে থাকতে হবে। সীমান্তে কিছু সমস্যা থাকবে। কিন্তু আমি মনে করি না এগুলো কখনো গুরুতর হয়ে উঠবে।’ এর আগে দিনের শুরুতে দালাই লামা বলেন, ভারত, জাপান ও চীন মিলে কোনো এক দিন এশিয়ান ইউনিয়ন হবে। তিনি বলেন, ‘আমি ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও মালয়েশিয়া ইউনিয়নের ভক্ত। আমি স্বপ্ন দেখি, ভারত, জাপান ও চীন মিলে একদিন এশিয়ান ইউনিয়ন হবে।’