তাঁকে আর লিওনেল মেসিকে জড়িয়ে গুজব কম ছড়ায়নি। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ত্রয়ী ‘এমএসএন’ ভেঙেছে এই মৌসুমের শুরুতে। কিন্তু নতুন ঠিকানায় এসেও মেসিকেই অনুসরণ করবেন নেইমার। অন্তত মুখের কথায় তেমনটাই বলছেন পিএসজির নম্বর টেন।
মৌসুমের শুরুতেই রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে নেইমারকে কিনে নিয়েছে পিএসজি। কাগজে-কলমে ধারে বলা হলেও ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে কিনে নিয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পেকেও। আর ইতিহাসের সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড় ইতিমধ্যেই আলো ছড়াতে শুরু করেছেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে আন্ডারলেখটের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতেছে প্যারিসের ক্লাবটি। দুই তারকাই গোল পেয়েছেন।
৩ মিনিটেই গোল করেছেন এমবাপ্পে, পরে কাভানিকে দিয়ে করিয়েছেন আরও একটি। নিজের তরুণ সতীর্থকে নিয়ে নেইমার বলেছেন, ‘সে দারুণ এক প্রতিভা, চমৎকার ফুটবলার। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে এবং সে জন্য আমি যতটুকু পারি সবটুকুই করব। বার্সেলোনায় মেসি আমার জন্য যা করেছে, আমি তার (এমবাপ্পে) জন্যও তেমনটা করতে চাই।’
নেইমার বার্সেলোনায় এসেছিলেন ২০১৩ সালে, ২১ বছর বয়সে। মেসি আর নেইমার তাঁদের চার বছরের বার্সা-অধ্যায়ে অনেক শিরোপা জিতেছেন। তরুণ নেইমারকে আরও পরিণত ফুটবলারে পরিণত করেছেন মেসি। বার্সেলোনায় এই রীতি অনেক পুরোনো। তরুণ মেসিকে গড়ে তুলেছিলেন রোনালদিনহো। সেই ধারাবাহিকতায় মেসিও নেইমারকে বিকশিত করার চেষ্টা করেছেন। সুয়ারেজ আসার পর তো গোলের চেয়ে গোলে সহায়তা করতেই যেন বেশি পছন্দ করতেন দুজন।
এমন খবরে খুশি হবেন পিএসজির সমর্থকেরা। নেইমার-এমবাপ্পে জুটি যদি ফ্রান্সের ‘মেসি-নেইমার’ জুটি হয়ে উঠতে পারে, পিএসজিকে শিরোপা জেতা নিয়ে ভাবতে হবে না।