বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার কাজে আর ফিরতে পারবেন না বলে মনে করেন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু।
তিনি বলেন, বিচারক যদি কখনও বিতর্কিত হন, দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, ওনার সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করতে হয়। অন্যান্য বিচারপতির কাছে বিচারপতি এসকে সিনহা বলেছেন- উনি রিজাইন করবেন। রিজাইন করার পরিবর্তে উনি একটা স্টেটমেন্ট দিয়ে চলে গেলেন। আবার এসে চেয়ারে বসতে চাচ্ছেন। অন্য বিচারপতিরা বলেছেন, আমরা ওনার সঙ্গে আর বসব না। ওনার আসার আর সুযোগ নেই। আমার মনে হয় এটি সুদূরপরাহত।
বৃহস্পতিবার রাতে চ্যানেল আই টেলিভিশনে প্রচারিত ‘বিবিসি প্রবাহ’ অনুষ্ঠানে মতিন খসরু এসব কথা বলেন।
তবে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগে এক লিখিত বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, বিচার বিভাগ যাতে ‘কলুষিত’ না হয় সে জন্য তিনি ‘সাময়িকভাবে’ দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন।
প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির’ গুরুতর অভিযোগ তোলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
প্রবাহ অনুষ্ঠানে খসরু দাবি করেন, সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকে পাঁচ কোটি-১০ কোটি টাকার লেনদেন- এটি কোত্থেকে হল?
কিন্তু প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যদি দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হল না কেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সময় চলে যায়নি। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অনেকেই মনে করে, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী রায়ের মাধ্যমে বাতিল করে দেয়ার কারণে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ওপর সরকার অসন্তুষ্ট ছিল।
তবে খসরু দাবি করেন, ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের সঙ্গে সিনহার ছুটির কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ ষোড়শ সংশোধনীর রায় প্রধান বিচারপতি একা দেননি।