এই ম্যাচও ১০ উইকেটে হারতে হল, ম্যাচ শেষে যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না মাশরাফি বিন মুর্তজার। বাংলাদেশ অধিনায়কের দৃঢ় বিশ্বাস, ২৭৮ রানের পুঁজি নিয়ে জেতা সম্ভব ছিল যদি শুরুতে উইকেট নেওয়া যেত।
মাশরাফি মনে করেন, দুই পাশে একই সঙ্গে ভালো বোলিং করলে উইকেট নেওয়া সম্ভব ছিল। সেক্ষেত্রে ম্যাচের চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।
“এই উইকেটে ২৭৮ রান নিয়েও জেতা সম্ভব ছিল, যদি আমরা শুরুতে উইকেট নিতে পারতাম। দুই দিক থেকেই আমরা যদি চাপ তৈরি করতে পারতাম, তাহলে হয়তো সম্ভব হত।”
“অবশ্যই আজকে যে বোলিং করেছি তা পুরোপুরি হতাশাজনক। …ম্যাচের মাঝামাঝি পর্যায়ে যদি ৫-৬টা উইকেট নিতে পারতাম তাহলে ম্যাচ আমাদের পক্ষেও থাকতে পারত।”
উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু নেই। এখানে আলগা বল দেওয়া মানে দলকে বিপদে ফেলে দেওয়া। উইকেট নিতে হলে দুই প্রান্ত থেকেই ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে হবে। সেই কাজ ম্যাচের কোনো পর্যায়ে করতে পারেনি বাংলাদেশ।
“এসব উইকেটে যদি দুই পাশ থেকে পার্টনারশিপ বোলিং না করা যায় তাহলে উইকেট পাওয়া খুব কঠিন। আমরা যে বোলিং করেছি, আমি নিশ্চিত সব বোলার চিন্তা করবে এটা নিয়ে। অবশ্যই এই বোলিং তাদের নিজেদের পরিকল্পনায় ছিল না। এখান থেকে অবশ্যই আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।”
সাত বোলার ব্যবহার করে হাশিম আমলা-কুইন্টন ডি কককে বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি মাশরাফি। দুই ব্যাটসম্যান সবাইকে খুব সহজেই খেলেছেন। মাশরাফি মনে করেন, আরেকটু সুশৃঙ্খল বোলিং করলে চিত্রটা ভিন্ন হতো।
“এক পাশ থেকে রান বের হয়ে গেলে অন্য পাশে যে ভালো বোলিং করছে তাকে আর ব্যাটসম্যানের মেরে খেলতে হয় না। এই ধরনের উইকেটে এই বোলিংটা আজকে মিসিং ছিল। দুই পাশ থেকেই ভালো বোলিং করতে পারিনি। শুরুতে বা শেষে যদি কিছুটা সময়ের জন্য আমরা এভাবে বোলিং করতে পারতাম তাহলে হয়তো ব্রেক থ্রু পেতে পারতাম। সেটা আমরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পারিনি।”