যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মৌখিক বিতর্ক বুঝি এবার সত্যি যুদ্ধে পরিণত হতে যাচ্ছে! বিশাল মার্কিন মুলুকে হামলা চালাতে প্রস্তুত ছোট্ট দেশ উত্তর কোরিয়া!
আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন নৌবাহিনীর যৌথ মহড়ার আগেই ট্রাম্পের দেশের যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর কেন্দ্র করে পিয়ংইয়ং ছুড়ে দিতে পারে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ‘হোয়াসং-১৪’। কিংবা মাঝারি পাল্লার ‘হোয়সং-১২’।
এমন খবরই প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক ‘দোঙ্গা লিবো’।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আলাস্কাসহ মার্কিন বড় শহরগুলোর ওপর হামলার জন্য ইতোমধ্যেই জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
একটি সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সোলের দৈনিকটি জানিয়েছে, উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে লঞ্চারের ওপর বসিয়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে পিয়ংইয়ং ও উত্তরের ফিওঙ্গান প্রদেশের হ্যাঙ্গারগুলো থেকে বের করে আনা হচ্ছে। সেগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেশের সুদূরতম উত্তর প্রান্তে। সেখান থেকেই মার্কিন শহরগুলোকে লক্ষ্য করে আইসিবিএম ছোড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিম জং উনের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়াকে বার্তা দিতেই যৌথ নৌমহড়ার নেতৃত্বে থাকছে ‘রোনাল্ড রেগন’ নামে একটি মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার। ‘হোয়াসং-১৪’র মতো আইসিবিএমকে লঞ্চপ্যাডের দিকে যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে; তার কারণ মার্কিন অঙ্গরাজ্য আলাস্কাকে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে ওই আইসিবিএম। আর ‘হোয়াসং-১২’ ক্ষেপণাস্ত্রকে লঞ্চপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন অঞ্চল গুয়াম দ্বীপে হামলা করার ক্ষমতা রাখে। চলতি বছরের ১ আগস্ট ওই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েই গুয়াম দ্বীপে আক্রমণের হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
দোঙ্গা লিবো আরও বলছে, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ নৌমহড়ার আগে তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ‘হোয়াসং-১৩’রও পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে ফেলতে পারে পিয়ংইয়ং। ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রশান্ত মহাসাগর লাগোয়া মার্কিন পশ্চিম দিকের শহরগুলো।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমকে বরাবরই ‘উন্মাদ’ বলে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিবৃতিতে কিম জবাব দিয়েছিলেন, জাতিসংঘে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংসের হুমকি দিয়েছেন, সে ভাষণের জন্য তাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।