আমার পিতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত শহীদ হওয়ার আগের দিন রাতে আমাকে বলেছিলেন যে, আগৈলঝাড়া হিন্দু প্রধান এলাকা। তাই তার মৃত্যুর পর হিন্দুদের যেন তিনি দেখেন। তাই বাবার কথা রক্ষা করতে আমি জীবিত থাকতে হিন্দুদের গায়ে কোন আঁচড় লাগতে দেব না।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সদরের শ্রীমতি মাতৃ মঙ্গল বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় হল রুমে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ-এমপি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহম্মেদ রাসেলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ১৪১ পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।” এই শ্লেগানকে সামনে আমাদের অসাম্প্রদায়িক বাঙ্গালী জাতি সত্তার পরিচয় বিশ্ব নন্দিত। তাই অন্যান্য বছরের মত এবছরও আগৈলঝাড়ায় শারদীয় দূর্গা পূজায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১শ ৪০টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজার আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বেশী পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিক্ষক সুনীল কুমার বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক ও বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস, গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান, থানার ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।
সভায় নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে বিশেষ নিরাপত্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়ে ওসি মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পূজা মন্ডপগুলোকে অধিক ঝুকিপূর্ণ, কম ঝুকিপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে তালিকা করে প্রয়োজন অনুযায়ি আইন শৃংখলা বাহিনী নিযুক্ত করা হবে।