আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশে রাজনীতি উত্তাপ। সম্প্রতি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালাদা জিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ায় দেশের রাজনীতি অঙ্গনে চলছে খলেদা জিয়ার গ্রেফতার গুঞ্জন। কেউ কেউ বলছেন, বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরলেই তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। অনেকে বলছেন, এটা সরকারের রাজনৈতিক একটা কায়দা। আসলে নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যেই এটি সরকারের নীল নকশারই অংশ মাত্র।
চিকিৎসা ও পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য প্রায় দুই মাস ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দলের সিনিয়র নেতা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তা সব রাজনৈতিক। তারা বলছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার বিরোধীদের দাবিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকেন। এটা রাজনীতির একটা কৌশল কিন্তু বিএনপির মত বৃহত্তম একটা দলের চেয়ারপারসনকে গ্রেফতার করা সরকারের জন্য খুব সহজ হবে না।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বর্তমান সরকারের সিংহাসন টালমাটাল হয়ে গেছে বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে পর্যদুস্ত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে ক্ষমতার সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে এখন উন্মাদ হয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র ও কুটকৌশল রুখে দিতে জাতীয়তাবাদী শক্তি সবসময় প্রস্তুত এবং এর জবাব রাজপথেই দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করার মত দুঃসাহস সরকারের নেই মন্তব্য করে ছাত্র দলের সভাপতি রাজিব আল আহসান বিডি২৪লাইভকে বলেন, বেগম জিয়াকে গ্রেফতার করা হবে এটা একটা বাজে কথা। কেননা তাকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতার করার মত দুঃসাহস দেখানোর মত ক্ষমতা এই সরকারের নেই। তারপরও যদি সরকার এধরণের দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আমরা রাজনীতির মাঠেই তার জবাব দিব। তখন শুধু একটা মাত্র আন্দোলন হবে সেটা হলো সরকার পতন আন্দোলন।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের এ ধরনের সাহসিকতা দেখানো ঠিক হবে না। তবে সরকার যদি এ ধরনের সাহসিকতা দেখায় তাহলে তার মাশুল দিতে হবে। বিএনপি গণতান্ত্রিক দল আইনি বিষয়গুলো আইনিভাবেই দেখবে বিএনপি। আর রাজনৈতিক বিষয়গুলো রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করবে।