রির্পোটঃঅনলাইন ডেস্ক.
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন।তিনি বলেন, ‘এ চ্যানেল উদ্ধার করে সেখানে হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। নদী-তীর দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি তাদেরকে জেল- জরিমানার আওতায় আনা হবে।’নৌপরিবহন মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইসলামবাগে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেলের অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা জেলা প্রশাসন যৌথভাবে দখল উচ্ছেদ ও বর্জ্য অপসারন কার্যক্রমের আয়োজন করে।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মোঃ আতাহারুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোঃ সেলিমের পুত্র মোঃ সোলেমান সেলিম, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোঃ বিল্লাল, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাবুল, পরিবেশবিদ মিহির বিশ্বাস এবং নদী গবেষক শামস সুমন বক্তৃতা করেন।নদী খননের জন্য ড্রেজারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী কোনো সরকার ড্রেজার ক্রয় করেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ ১৩টি ড্রেজার সংগ্রহ করে। আরো ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নদী খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য তিনটি এক্সকাভেটর ক্রয় করা হয়েছে, আরো ছয়টি এক্সকাভেটর ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
শাজাহান খান বলেন, ঢাকার চারদিকে নদী তীরের উচ্ছেদকৃত ভূমি যাতে পুনরায় দখল না হয় সেজন্য বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ব্যাংক প্রটেকশনসহ ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। চলতি মেয়াদে আরো ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে।তিনি জানান,পর্যায়ক্রমে ঢাকা শহরের দু’পাশে ২৪০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মিত হবে।নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, বুড়িগঙ্গা, বালু, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর দুষণ-মুক্তির জন্য দুষণের উৎসমুখ বন্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এ ব্যাপারে কাজও চলমান রয়েছে। বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশ হতে পরীক্ষামূলকভাবে আট দশমিক ৫০ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য উত্তোলন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।বৃহস্পতিবারের উচ্ছেদ অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র এক্সকাভেটর, বুলডোজার এবং সাধারণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
