দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক জোটের এক যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে যে বক্তব্য এসেছে তাতে তীব্র আপত্তি তুলেছে মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ার ক্রদ্ধ পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনিফা আমান বলেছেন, “তার দেশের সাথে এই বিবৃতির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে বিবৃতিতে যে বর্ণনা রয়েছে তা বাস্তবতা বিবর্জিত এবং নিগৃহীত রোহিঙ্গা মুসলিমদের কথা উল্লেখও করা হয়নি।” তিনি বলেন, এই বিবৃতি থেকে মালয়েশিয়া নিজেকে প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।
আসিয়ান জোটে কোনো একটি সদস্য দেশের কাছ থেকে প্রকাশ্যে এ ধরণের বিদ্রোহমুলক আচরণ প্রায় নজিরবিহীন।
বর্তমানে এই জোটের সভাপতিত্ব করছেন ফিলিপিন্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান কেইটানো। তিনি তার বিবৃতিতে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার নিন্দা করা হয়েছে। সহিংসতার নিন্দা করা হয়েছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিম শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি বা তাদের ওপর নির্যাতনের কথাও বলা হয়নি। আর তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে মালয়েশিয়া। তাদের কথা, মালয়েশিয়ার বক্তব্য পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছেন জোট সভাপতি।
কুয়ালালামপুরে গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের শাহরিমান লোকমান বলছেন, আসিয়ান জোটে যে অস্বস্তি অসন্তোষ শুরু হয়েছে মালয়েশিয়ার এই আচরণ তার একটি বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, কোনো যৌথ বিবৃতি থেকে প্রত্যাহার করার ঘটনা এই জোটে বিরল ।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ১০-সদস্যের আসিয়ান জোটের প্রভাবশালী দুই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া মিয়ানমারের ওপর খাপ্পা।