ইরান একটি নতুন মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের এর নিন্দা করে বলেছেন, এ ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন-মিত্র ইসরাইলের ওপর আঘাত হানতে সক্ষম।
খোরামশাহর নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা হচ্ছে ২ হাজার কিলোমিটার। ইরানের টিভিতে এর উৎক্ষেপণের দৃশ্য দেখানো হয়। তবে পরীক্ষাটি ঠিক কবে বা কখন চালানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণেও মি. ট্রাম্প ইরানের সমালোচনা করেন।
এর পর গত শনিবার এক টুইট বার্তায় মি. ট্রাম্প আবারো ইরানের সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, তারা উত্তর কোরিয়ার শাসক চক্রকে সহযোগিতা করছে।
বিবিসির বিশ্লেষক কাসরা নাজী বলছেন, ঠিক উত্তর কোরিয়ার মতো করেই ইরানও একটি বার্তা দিচ্ছে যে তারা কোন চাপের কাছে হার মানবে না।
গত শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, ইরান প্রতিরোধী ব্যবস্থা হিসেবে তার সামরিক শক্তি বাড়াবে।
জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব অনুযায়ী ইরানকে আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে তারা কোন পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম কোন ব্যালিস্টিক মিসাইল কার্যক্রম না চালায়।
শুক্রবারএক সামরিক প্যারেডে এ ক্ষেপণাস্ত্র দেখানো হয়। এটি এমন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র যার মাথায় একাধিক বোমা বসানো সম্ভব। ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জেনারেল আমির হাতামি এর ‘বিশেষত্ব’ বর্ণনা করে বলেছেন, ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য কারো অনুমতি নিতে হবে না।