উড়ছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই। লিগের প্রথম ছয় ম্যাচেই জয়। সর্বশেষ ছয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৪ গোল। নেইমার যোগ দেওয়ার পর পিএসজিকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছিল না। কিন্তু মধুচন্দ্রিমা থেমেছে প্যারিসের দলটির। নেইমার যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম খেললেন না প্যারিসের জার্সিতে। তাতেই থমকে দাঁড়াল পিএসজি। মঁপেলিয়ের সঙ্গে আজ গোলশূন্য ড্র করেছে এমবাপ্পে-কাভানিরা। চার দিন পরেই চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে পিএসজি। আজ তাই স্কোয়াডে নেইমারকে না দেখায় বিস্ময় জাগেনি খুব একটা। তবে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, পায়ে হালকা ব্যথা অনুভব করায় নামানো হয়নি নেইমারকে। তাতেও খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না। প্রতিপক্ষ মঁপেলিয়ে খুব একটা ভালো ফর্মে নেই। নেইমারকে ছাড়াও পিএসজি দলে তো তারকার অভাব নেই। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় না থাকুক, দ্বিতীয়জন কিলিয়ান এমবাপ্পে তো আছেন। আছেন এডিনসন কাভানি কিংবা মার্কো ভেরাত্তিও। নেইমারের বদলে নামা জুলিয়ান ড্রেক্সলারও কী কম যান!
ম্যাচে পিএসজির যা কিছু ভালো সবকিছুই ওই ড্রেক্সলারের মাধ্যমেই এসেছে। ১৬ মিনিটে জার্মান উইঙ্গারের বানিয়ে দেওয়া এক সুযোগ খুব বাজেভাবে হাতছাড়া করেছেন কাভানি। প্রথমার্ধে আরও দুটো সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। কিন্তু ড্রেক্সলারের তৈরি করা সে সুযোগ দুটি কাজে লাগাতে পারেননি থিয়াগো সিলভা ও এমবাপ্পে।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে পিএসজি। ভেরাত্তির দুর্দান্ত এক লবে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নিতে দেরি করে ফেলেছেন এমবাপ্পে। শেষ মুহূর্তে কাভানির একটি পেনাল্টির আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রেফারি। তবে রিপ্লেতে দেখা গেছে, সেটা পেনাল্টি ছিল। যোগ করা সময়েও সুযোগ পেয়েছিলেন কাভানি। কিন্তু তাঁর আরেকটি বাজে শট, পিএসজি সমর্থকদের জানিয়ে দিয়েছে এ দলের জন্য নেইমার কতটা গুরুত্বপূর্ণ।