নিজস্ব প্রতিবেদক:
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আটটি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির বিষয়ে ২০১৫ সালের মে মাসে সুপারিশ করেছিল সরকারি হিসাব কমিটি।
চলতি বছর এসে দেখা গেছে, এই আটটি আপত্তির মধ্যে মাত্র দুটির বিষয়ে সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে। আর ছয়টি আপত্তি নিষ্পত্তির সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি।
বৃহস্পতিবার সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটির বৈঠকে যে সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করে কমিটির অনুশাসন প্রতিপালন না করাকে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করা হয়।
কমিটির বৈঠকের কার্যপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ওই বৈঠকে ২০০৮ -২০০৯ অর্থ বছরের ওই অডিট আপত্তিগুলো নিষ্পত্তির সুপারিশ করা হয়েছিল।
যে আপত্তিগুলোর বিষয়ে সংসদীয় কমিটির নির্দেশনা মানা হয়নি সেগুলো হল
>> পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ফরিদপুর কার্যালয়ে রেসপনসিভ ১ম সর্বনিম্ন দরদাতার দরপত্র গ্রহণ না করে ৪র্থ সর্বনিম্ন দরদাতার দরপত্র গ্রহণ করায় ১ কোটি ১১ লাখ ২৯ হাজার টাকা ক্ষতি
>> নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে ব্যর্থ ঠিকাদারের পারফরমেন্স সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত না পাউবোর ১ কোটি ৬১ লাখ ৮৫ হাজার ৫শত টাকা ক্ষতি
>> সেচকর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থতার জন্য বোর্ডের ৪ কোটি ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪ শত ৯৪ টাকা ক্ষতি
>> বাজেট বরাদ্দের অতিরিক্ত কার্যাদেশ প্রদানে বোর্ডের দায়দেনা ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৫৩ হাজার ৬শত ৯১ টাকা বাড়ানো
>> চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে রয়্যালটি পরিশোধে ২০ লাখ ৪২ হাজার ৫৩০ টাকা ক্ষতি
>> সেচকর বাবদ আদায় করা অর্থ থেকে ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৭ টাকা ব্যয়
বৈঠকে এই আপত্তিগুলোর বিষয়ে কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করে অডিট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা ৬০ দিনের মধ্যে কমিটিকে জানানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
কমিটির সভাপতি মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম, মো. আব্দুস শহীদ, মো. রুস্তম আলী ফরাজী, মো. শামসুল হক টুকু ও ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন।