নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একই সুরে কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর বাসসের।
তথ্যমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন, তাদের সম্মানজনক পুনর্বাসন, ক্ষয়ক্ষতি ও ভোগান্তির জন্য ক্ষতিপূরণ ও রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারের নাগরিকত্ব এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও জাতিসংঘের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগই হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সবচেয়ে ভালো উপায়। তিনি চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সরকারি-মানবিক, কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক—এই তিন ধরনের কৌশলের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এ তিনটির সমন্বয় দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বড় রকমের সাফল্য বয়ে আনবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একই সুরে কথা বলছেন। তারা শান্তির জন্য নয়। তারা সহিংসতার প্রবক্তা।’ খালেদা জিয়াকে ‘সাম্প্রদায়িক’ এবং সু চি-কে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা-বিরোধী’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘তাঁদের বক্তব্যের ফলাফল হিসেবে এ অঞ্চলে সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হবে।’
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিপদের সময় মানবতার জন্য বাংলাদেশ যথাসাধ্য করছে। যেসব দেশ ও সংগঠন সংকট মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে, মন্ত্রী বিশেষভাবে তাদের প্রশংসা করেন। তিনি গণমাধ্যমের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা আশা করি, গণমাধ্যম মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ অব্যাহত রাখবে।’ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংগঠিত নিষ্ঠুরতার ব্যাপারে বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের কারণেই মূলত সম্ভব হয়েছে।
বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম এ কাশেম। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের চেয়ারম্যান তওহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন প্রমুখ।