অনলাইন ডেক্সঃ
দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছে এক দিন বিশ্রাম। এরপর কাল বেনোনির সাহারা উইলোমুর পার্ক মাঠে প্রথম অনুশীলনটাও সেরে নিয়েছে বাংলাদেশ দল। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও ইংল্যান্ডে হাইপারফরম্যান্স দলের সঙ্গে থাকা শুভাশিস রায়। তবে এখনো যাওয়া হয়নি রুবেল হোসেনের। কবে যাবেন বা আদৌ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তাঁর যাওয়া হবে কি না, কাল রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত শনিবার দলের সঙ্গেই যাওয়ার কথা ছিল পেসার রুবেলের। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত ছাড়পত্র না আসায় এমিরেটস এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তাঁকে বিমানে তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। দলের সবাই চলে গেলেও রুবেল ফিরে যান বাসায়। নিরাপত্তা ছাড়পত্র কাল রাত পর্যন্তও এসে পৌঁছায়নি। শেষ হয়নি রুবেলের অপেক্ষা।
বিসিবির একটি সূত্রে কাল যা জানা গেল, তাতে অনিশ্চয়তা যেন আরও বাড়ছে। এয়ারলাইনস থেকে নাকি জানানো হয়েছে, রুবেলের নিরাপত্তা ছাড়পত্র আসার সম্ভাবনা নেই। কারণ এই নামটি দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনের কালো তালিকাভুক্ত। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী তবু আশাবাদী, ‘আমি ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী হারুন লরগাতের সঙ্গেও বিষয়টা নিয়ে কথা বলেছি। ভিসা হওয়ার পরও এ রকম ঘটনায় তিনি নিজেও বিস্মিত। তাঁরা তাঁদের দিক থেকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন।’ তাঁর ধারণা, ‘অনেক দেশে যেতেই এখন যাত্রীদের বিশেষ একটা নিরাপত্তা ছাড়পত্রের দরকার হয়। আপনি যে দেশে যাবেন সেখানকার ইমিগ্রেশন এটা দেবে। নিয়মটা সম্প্রতি হয়েছে। আমার ধারণা, রুবেলের ক্ষেত্রে ওই ছাড়পত্রেই সমস্যা হয়েছে।’
কিন্তু শুধু রুবেলকেই কেন ছাড়পত্র দেওয়া হবে না? এ নিয়েও বিসিবি ধোঁয়াশায়। তবে একটি সূত্র থেকে নাকি বিসিবিকে জানানো হয়েছে, রুবেলকে নিয়ে মূল সমস্যাটা নামের বিভ্রাট। ‘রুবেল হোসেন’ নামের এক বাংলাদেশি দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশনে কালো তালিকাভুক্ত হয়ে আছেন। এখন ক্রিকেটার রুবেল হোসেনই সেই রুবেল কি না, এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন তাঁরা। সে জন্যই আটকে আছে ছাড়পত্র। বিসিবির ধারণা, অন্য কোনো রুবেল হোসেন হয়তো কখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো অপরাধ করেছেন, যার মাশুল দিতে হচ্ছে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে।