রবিবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

মনে রাখতে হবে একজন সাংবাদিকও দিনের শেষে সংসারী মানুষ

প্রতিবেদক
alltimebdnews24 com
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭ ১০:২১ অপরাহ্ণ

কলামিস্টঃ আর.এম।

ভূয়া সাংবাদিক, হলুদ সাংবাদিক, , অপসাংবাদিক ইত্যাদি শব্দগুলি দীর্ঘদিন থেকেই প্রচারিত হয়ে আসছে। এও বলা হয়, মফস্বলের সাংবাদিকরা নাকি একেবারেই পর্যায়হীন, কোনো লেখার জোর নেই, ধামাধরা গৃহপালিত প্রাণী। পক্ষান্তরে রাজধানীর ঢাকার সাংবাদিকরা নাকি অনেক যোগ্যতাসম্পন্ন!

ঠিক আছে, মেনে নিলাম। রাজধানীর সাংবাদিকরা ঠিক কত বেতন পান? মফস্বলের সাংবাদিকরা এখন ঠিক কী অবস্থায় আছে? জেলাগুলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো দুই পাতার প্রিন্ট আর তথাকথিত অনলাইন পত্রিকা গড়ে তোলা হয়েছে। জানা মতে, এইসব পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড বাস্তায়িত হয় কাগজে-কলমে। সেখানে পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকরা বেতন না পেলেও স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন বেতন বুঝে পেলামের খাতায়।

রাজধানী থেকে প্রকাশিত সিংহভাগ দৈনিক ও অনলাইনের সাংবাদিকরা টিমটিম করে চললেও তাদের সাংবাদিকরা যেন এক একটি মৃতদেহ। গাধার খাটুনি খাটলেও বেতন পায় কিনা সন্দেহ আছে। তবে, হাতেগোনা কিছু পত্রিকায় এর চিত্র উল্টো।

বেশিরভাগ পত্রিকাতেই সাংবাদিক- ফটো সাংবাদিকরা কাজ করেন প্রায় বিনা বেতনে। আবার কিছু পত্রিকা থেকে বেতনের নামে এতই অল্প টাকা দেওয়া হয় যে সেটা হাতখরচের সামিল।

এছাড়া মফস্বল এমনকি রাজধানীতেও অনেক পত্রিকা আছে যেখানে পত্রিকার যিনি মালিক, তিনিই সাংবাদিক। এদের কাগজ ছাপানো, প্রকাশনা করাটা একটা নেশা। তাদেরও সাংবাদিকতা করে কোনো উল্লেখযোগ্য রোজগার নেই। বেশিরভাগই অন্য পেশাসূত্রে আয় করেন, সাংবাদিকতা করেন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর আশায়। এর সাথে যোগ হয়েছে সাংবাদিক প্রশিক্ষণের রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া, সদ্য পাশ করা ছেলেমেয়েরা ভীড় জমাচ্ছে ঐসব প্রশিক্ষণের জন্য। এগুলো আসলে বেগার খাটানোর ফিকির। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে আবার প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেটের জন্য জন্য রীতিমতো টাকাপয়সাও দিতে হয়।

সব মিলিয়ে অবস্থাটা যথেষ্টই হতশ্রী। কোনো শিল্প নেই, স্বভাবতই বিজ্ঞাপনও কম। যার ফলে পত্রিকার লাভ নেই, সংবাদকর্মীদের বেতনও নেই। প্রথমশ্রেণীর কয়েকটি অনলাইন, টিভি মিডিয়া, দৈনিক পত্রিকা বাদ দিলে বাকি সকলের অবস্থাই অকথ্য।

বহির্বিশ্বে অবস্থাটা অনেক আলাদা। ওখানে ব্যাঙের ছাতার মতো মিডিয়া নেই, যারা আছে তারা নিজেদের কোয়ালিটি বজায় রাখে। শিল্প সংস্থাও বেশি, ফলে অনলাইন, প্রিন্ট পত্রিকা ও টিভি মিডিয়াগুলোও অনেক লাভজনক।

সংবাদপত্র তথা মিডিয়া রাষ্ট্রের স্তম্ভ। সাংবাদিকতা অবশ্যই একটা মহান পেশা, কিন্তু একজন সাংবাদিকও দিনের শেষে সংসারী মানুষ। তাই বেতন না দিতে পারলে সেই অনলাইন, প্রিন্ট পত্রিকা ও টিভি মিডিয়া অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয়।

(Visited ৮৭ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি