সরকারি সংস্থাগুলোর ভাগ্যে প্রেসিডেন্টের কথায় ‘না’ বলার কোনো সুযোগই থাকে না। তাও আবার তা যদি হয় খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তাহলে তো কথাই নেই। কয়জনের সাধ্য রয়েছে তাকে মুখের ওপর ‘না’ বলে দেয়? কিন্তু এমনটাই ঘটেছে মহাক্ষমতাধর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলায়।
নাসার অ্যাক্টিং ডিরেক্টর রবার্ট এম লাইটফুট জুনিয়র সেই সাহস দেখাতে মোটেও কার্পণ্য করলেন না। তাকে ট্রাম্প একটা অনুরোধ করামাত্রই সরাসরি নেতিবাচক জবাব দিয়ে দিলেন তিনি!
নিউইয়র্ক টাইমসে বলা হয়, ট্রাম্প নাসার স্পেস লঞ্চ সিস্টেমের প্রথম ফ্লাইটের যাত্রীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন রবার্টকে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের এ আবদার মেটাতে যে খবর আর সময় ব্যয় হবে, তার কথা চিন্তা করে ‘না’ বলে দিয়েছেন পরিচালক। কৌশলগত দিক থেকে এটাকে অসাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বাড়তি যাত্রী নিয়ে ৬০০-৯০০ মিলিয়ন ডলার বাড়তি গুণতে হবে তাকে। এটা বাড়ির কাছের কথা নয়।
লাইটফুট আরও বলেন, ইতিমধ্যে এই ফ্লাইটটি বিলম্ব করেছে। এতে আরো ক্রু যোগ করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনুসন্ধানও চালিয়েছেন তিনি। দেখা গেছে, প্রথম পরিকল্পনাই সেরা। নতুন কিছু করতে গেলে মূল পরিকল্পনাতেই ঝামেলা লেগে যাবে।
নাসার এই মহাকাশচারীর দল সত্যিকার রকেট বিজ্ঞানী। সরাসরি নাকচের এই ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘আগুনে মেজাজ’ আর ‘সত্যকে গ্রহণ বা তুলে ধরার অক্ষমতা’ তাদের ওপর কিভাবে ন্যস্ত হতে পারে, তা নিয়ে কিছু আলোচনা তো হচ্ছেই।