স্টাফ রিপোর্টার .
# মোট কেন্দ্র ১৭৪টি
#বেসরকারিভাবে সব কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা
#আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রাপ্ত ভোট: ১৭৫৬১১
# বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রাপ্ত ভোট: ৯৬০৪৪
# বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান প্রাপ্ত ভোট: ৯৬০৪৪
টানা দ্বিতীয়বারের মতো রাজধানীর পার্শ্ববর্তী নগর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। একজন নারী জনপ্রতিনিধি হিসেবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে তিনি ইতিহাসও সৃষ্টি করলেন। এর আগে আইভী নারায়ণগঞ্জ পৌরসভারও নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও, দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আইভীই প্রথম বিজয়ী হিসেবেও ইতিহাসে ঠাঁই করে নিয়েছেন। বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। ১৭৪টি ভোট কেন্দ্রের সব ক’টির গণনা শেষে আইভী পেয়েছেন ১,৭৫,৬১১ ভোট এবং সাখাওয়াত পেয়েছেন ৯৬,০৪৪ ভোট।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় অনেক জল্পনা-কল্পনা ও আশঙ্কার মধ্যে শুরু হয় রাজধানীর খুব সন্নিকটের এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। শঙ্কা থাকলেও দিন শেষে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় এ আলোচিত সিটি নির্বাচনটি। দিনভর ভোটাররাও অত্যন্ত শান্ত পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অবশ্য দিনের প্রথমভাগে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা যায়। আর ভোটার উপস্থিতি কমের জন্য সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সরাসরি কাউকে উল্লেখ না করে অভিযোগ করেন, ভয়ভীতি ও বাধার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেশের ভোটের রাজনীতিতেও একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। থাকবে ব্যাপক আলোচনার একটি নির্বাচন হয়েও। একদিকে, দলীয় প্রতীকে দেশের প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আর এর সঙ্গে যোগ হয় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সক্রিয় অংশ গ্রহণ। বেশ আগে থেকেই বিএনপি বারবার বলে আসছিল চলতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। তাই তাদের ভাষায় ‘নির্লজ্জ ও মেরুদ-হীন কমিশন’র অধীনে তারাও কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কমিশনের পাশাপাশি বিএনপির অভিযোগ ছিল বর্তমান সরকারের প্রতিও। এ সরকার ‘গণতন্ত্র হরণকারী’ ও ‘বিরোধীদল দমনকারী স্বৈরাচারী সরকার’ বলেও তাদের অভিযোগ। এছাড়া, বিগত ২০১৪ সালের ‘একতরফা’ নির্বাচনের কারণে বর্তমান সরকারের অধীনেও কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হতে পারে না।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপি তাদের সেই অনমনীয় মনোভাব ঝেড়ে ফেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তা সরকার ও বর্তমান ইসির অধীনেই। উল্লেখ্য, বর্তমান ইসির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বর্তমান কমিশন বিদায় নেবে। নতুন কমিশন গঠনের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন। আর ইতোমধ্যে বিএনপিরও সে সংলাপে অংশ নিয়েছে। বিএনপির অংশ গ্রহণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে করে তোলে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আর এ নির্বাচন হয়ে দাঁড়ায় দুই বড় দলের জন্যও মর্যাদা ও চ্যালেঞ্জের। চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিদায়ী ইসির জন্যও। অন্তত শেষ বিকালে ইসি যেন এ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা দিয়ে নিজেদের হারানো ইমেজকে কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করে সেই আলোচনাই দেশের রাজনৈতিক ও সুশীল মহলে শুরু হয়।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই নেতা স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধে এ সিটি নির্বাচন নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় ছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এক পর্যায়ে মেয়র প্রার্র্থী মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান শামীম ওসমান ও আইভীকে। তিনি দীর্ঘ সময় তাদেরসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সদ্য বিদায়ী মেয়র আইভীকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে শামীম ওসমানকেও কোনো নতুন বিতর্ক তৈরি না করে আইভীর বিজয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই গণমাধ্যমে ও দলীয় ফোরামে শামীম ওসমানের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হতে থাকে। গজাতে থাকে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনারও। অবশেষে গতকাল ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি ভোট কেন্দ্রে শামীম ওসমান বিধি ভঙ্গ করে আইভীর পক্ষে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মেরে এ আলোচনাকে আরও উস্কে দেন। দিনশেষে সেই আইভীই বিজয়ী টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হলেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় অনেক জল্পনা-কল্পনা ও আশঙ্কার মধ্যে শুরু হয় রাজধানীর খুব সন্নিকটের এ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। শঙ্কা থাকলেও দিন শেষে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় এ আলোচিত সিটি নির্বাচনটি। দিনভর ভোটাররাও অত্যন্ত শান্ত পরিবেশে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অবশ্য দিনের প্রথমভাগে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম দেখা যায়। আর ভোটার উপস্থিতি কমের জন্য সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান সরাসরি কাউকে উল্লেখ না করে অভিযোগ করেন, ভয়ভীতি ও বাধার কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন দেশের ভোটের রাজনীতিতেও একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। থাকবে ব্যাপক আলোচনার একটি নির্বাচন হয়েও। একদিকে, দলীয় প্রতীকে দেশের প্রথম স্থানীয় সরকার নির্বাচন। আর এর সঙ্গে যোগ হয় দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির সক্রিয় অংশ গ্রহণ। বেশ আগে থেকেই বিএনপি বারবার বলে আসছিল চলতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। তাই তাদের ভাষায় ‘নির্লজ্জ ও মেরুদ-হীন কমিশন’র অধীনে তারাও কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কমিশনের পাশাপাশি বিএনপির অভিযোগ ছিল বর্তমান সরকারের প্রতিও। এ সরকার ‘গণতন্ত্র হরণকারী’ ও ‘বিরোধীদল দমনকারী স্বৈরাচারী সরকার’ বলেও তাদের অভিযোগ। এছাড়া, বিগত ২০১৪ সালের ‘একতরফা’ নির্বাচনের কারণে বর্তমান সরকারের অধীনেও কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ হতে পারে না।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপি তাদের সেই অনমনীয় মনোভাব ঝেড়ে ফেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তা সরকার ও বর্তমান ইসির অধীনেই। উল্লেখ্য, বর্তমান ইসির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। আগামী মধ্য ফেব্রুয়ারীতে বর্তমান কমিশন বিদায় নেবে। নতুন কমিশন গঠনের জন্য বর্তমান প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন। আর ইতোমধ্যে বিএনপিরও সে সংলাপে অংশ নিয়েছে। বিএনপির অংশ গ্রহণ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে করে তোলে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আর এ নির্বাচন হয়ে দাঁড়ায় দুই বড় দলের জন্যও মর্যাদা ও চ্যালেঞ্জের। চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিদায়ী ইসির জন্যও। অন্তত শেষ বিকালে ইসি যেন এ নির্বাচনের সুষ্ঠুতা দিয়ে নিজেদের হারানো ইমেজকে কিছুটা হলেও পুনরুদ্ধার করে সেই আলোচনাই দেশের রাজনৈতিক ও সুশীল মহলে শুরু হয়।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী দুই নেতা স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধে এ সিটি নির্বাচন নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় ছিল ক্ষমতাসীন দলটি। এক পর্যায়ে মেয়র প্রার্র্থী মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে ডেকে পাঠান শামীম ওসমান ও আইভীকে। তিনি দীর্ঘ সময় তাদেরসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সদ্য বিদায়ী মেয়র আইভীকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে শামীম ওসমানকেও কোনো নতুন বিতর্ক তৈরি না করে আইভীর বিজয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই গণমাধ্যমে ও দলীয় ফোরামে শামীম ওসমানের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হতে থাকে। গজাতে থাকে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনারও। অবশেষে গতকাল ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি ভোট কেন্দ্রে শামীম ওসমান বিধি ভঙ্গ করে আইভীর পক্ষে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মেরে এ আলোচনাকে আরও উস্কে দেন। দিনশেষে সেই আইভীই বিজয়ী টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র নির্বাচিত হলেন।
(Visited ৬ times, ১ visits today)