দেশের ক্রিকেটে পেসারদের যখন উত্থানের লগ্ন চলছে, তখন কুমিল্লার এক তরুণ স্বপ্ন দেখছিল জাতীয় দলে খেলার। ২০১৫ সালে কুমিল্লা জেলা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ‘পেসার হান্ট’ এ কুমিল্লা অঞ্চলের সেরা বোলার হয়েছিলেন। সেই তরুণ পেসার রবিউল আলম চলে গেছেন না ফেরার দেশে!
মাত্র ২৪ বছর বয়সেই নিয়তি রবিউলের জীবনপ্রদীপ থামিয়ে দিল। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে অনুশীলনের সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। পরে জানা যায় রবিউলের দুটি কিডনিই নষ্ট! এমন তরতাজা সবসময় ফিট রবিউলের কিডনি নষ্ট হতে পারে এমনটা ভাবনায় ছিল না কারও!
শুরু হয় যমে-মানুষে টানাটানি। দেশে চিকিৎসার পর গত ডিসেম্বরে ভারতে নেওয়া হয় রবিউলকে। সেখান থেকে আবারও ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় দেশে। পরিবার থেকে একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা হলেও রবিউলের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় টাকা। এ নিয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে গত ২৪ ডিসেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে অনেকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তখন বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম গুরুত্বসহকারে এই সংবাদ পরিবেশন করে।
ডাক্তারদের চেষ্টায় আর সবার সহযোগিতায় সেরেও উঠেছিলেন রবিউল। গত জুনে বাড়ি ফিরে যান।
এর মধ্যে খেলার মাঠেও যেতে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত খাওয়াদাওয়ায় দেহের সঠিক ওজন ফিরে পেয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তি আবারও তার নিষ্ঠুর খেলা শুরু করে। ঈদুল আজহার সপ্তাহখানেক আগে আবারও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রবিউল। ঢাকায় আনার পর জানা যায় তার রক্তে সংক্রমণ হয়েছে! অবশেষে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান রবিউল। অকালেই থেমে যায় এক সম্ভাবনাময় পেসারের জীবন!