শনিবার , ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

বয়ামে কথা জমানো মিম।।

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
ডিসেম্বর ২৪, ২০১৬ ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রিপোটঃঅনলাইন ডেস্ক.

গ্রামীণফোনের এক বিজ্ঞাপনেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে মিম। বয়ামে কথা জমিয়ে রাখত সে।
বাবা বাড়ি ফিরলে সব শোনাবে। কিন্তু বাবা তো আর আসে না। তাই একদিন অভিমান করে কথা জমানো সব বয়াম পুকুরে ভাসিয়ে দেয় মিম। বিজ্ঞাপনে তার অভিনয় দর্শকদের আলোড়িত করে।

২০১৪ সালের বিজ্ঞাপনটি দিয়ে মিমের মিডিয়ায় পথচলা শুরু। তখন মিমের বয়স মাত্র ১০ বছর। মিম জানায়, ‘যখনই টিভি দেখতাম, ভাবতাম তাঁরা কিভাবে টিভির পর্দায় এলেন। আমি কি যেতে পারব! সবাই বলত, বড় হও, তুমিও পারবে। কিন্তু ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি স্বপ্নটা পূরণ হবে। ’ বিজ্ঞাপনটি বানিয়েছেন অমিতাভ রেজা। প্রথম বিজ্ঞাপন, ভয় লেগেছে? মিম বলল, ‘ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়ালেও কোনো ভয় লাগেনি। শুটিং ইউনিটের সবাই বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে অমিতাভ রেজা ভাইয়া আমাকে সব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। শট ঠিকমতো না হলে তিনি পাশে বসে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। ’

মিম পড়ে তেজগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এই স্কুলে গ্রামীণফোনের টিভিসির জন্য শিশু মডেল খুঁজতে গিয়েছিলেন অমিতাভ রেজার শুটিং ইউনিটের একজন। আগেও এ স্কুলের অনেক খুদে শিক্ষার্থী অমিতাভ রেজার প্রতিষ্ঠান হাফ স্টপ ডাউনের বিভিন্ন কাজে মডেল হয়েছিল। কিন্তু এবার ৫০ জনকে দেখেও কাউকে মনে ধরল না ইউনিটের ওই সহকারীর। তখন প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম মিমকে দেখান। তাকেই বেছে নেন অমিতাভ রেজা। এরপর প্রস্তাব যায় মিমের বাবার কাছে। মিমের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে অনেক ছোট। ক্লাস টুতে পড়ে। মিমের প্রধান শিক্ষক তাঁকে আশ্বস্ত করলে রাজি হন।

প্রথম বিজ্ঞাপন প্রচারের পরই হিট। সেই থেকে এ পর্যন্ত ১০টির মতো বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছে মিম। তার মধ্যে তামিম ইকবালের সঙ্গে ফ্রেশ টি, গ্রামীণফোনের বয়ামে কথা জমানো, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং অন্যতম।শুটিংয়ের গল্প শুনতে চাইলে মিম জানাল, ‘ভোর ৫টায় আমাকে ও দাদিকে শুটিংয়ের জন্য বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হতো। শুটিং করার সময় দাদি একটা রুমে থাকতেন। খানিক পরেই তিনি কান্নাকাটি শুরু করে দিতেন। পরে ইউনিটের লোকেরা দাদিকে নিয়ে আসেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুমি কাঁদছিলে কেন?’ দাদি বলেন, ‘অচেনা জায়গায় তোমাকে নিয়ে আসছে। আমি ভাবছি তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি। ’ তবে প্রথম বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর দাদি অনেক খুশি হন বলে জানায় মিম।

মিম এখন চতুর্থ শ্রেণিতে। স্কুলের সবাই তাকে নিয়ে বেশ গর্ব করে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নিয়মিত অভিনয়ের ডাক পড়ে। পাড়াপড়শি ও স্কুলের সবাই তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।বিজ্ঞাপন ও অভিনয় থেকে পাওয়া সম্মানীর টাকা দিয়ে কী করো জানতে চাইলে সে জানায়, ‘বাবা সব টাকা জমিয়ে রেখেছেন আমার জন্য। ’অভিনয় করতে নাকি মিমের খুবই ভালো লাগে। শুটিংয়ের সেটে সবাই তাকে সুপারস্টার নামে ডাকে।মিমের গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী। থাকে ঢাকার তেজকুনিপাড়ায়। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়ই। মা-বাবার দুই মেয়ের মধ্যে মিম ছোট। তাই কোনো আবদারই অপূর্ণ থাকে না।

(Visited ৭ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি