মেক্সিকোর দক্ষিণ উপকূলে ৮ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ এ ঠেকেছে। ভূমিকম্পের প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরে স্বল্প উচ্চতার সুনামি হয়েছে। গুয়েতেমালাতে আরও একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
১৯৮৫ সালের পর এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছে মেক্সিকোর বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থা। ১৯৮৫ সালের ভূমিকম্পে নিহত হয়েছিল ১০ হাজার মানুষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত লোকজন ঘুমানোর পোশাক পরেই বাড়ি থেকে রাস্তায় ছুটে আসে।
শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার কিছু আগে রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প মেক্সিকোতে আঘাত হানার তথ্য নিশ্চিত করেছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
বিবিসি ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মেক্সিকো উপকূলের পিজিজিয়াপান শহর থেকে ৮৭ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে; ভূমির ২০ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের তীব্রতার কারণে মেক্সিকো ছাড়াও পাশের গুয়েতেমালা, এল সালভেদর, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, পানামা, হন্ডুরাস ও ইকুয়েডরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে মেক্সিকো সিটির বিভিন্ন এলাকার ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে বাইরে ও রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
পরে মেক্সিকোর ১১ টি রাজ্যের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। মেক্সিকোর রাজধানীতে কিছু জায়গায় বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন ধরে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। তবে সেসব ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মেক্সিকোর দক্ষিণে বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গুয়েতেমালার পশ্চিম এলাকাগুলোতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওয়াক্সাকা রাজ্যের জাচিতান শহরের মিলনায়তন কেন্দ্র, একটি হোটেল, একটি পানশালা এবং কয়েকটি ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বলে জানা গেছে।