বাঁ-হাতিদের বিপর্যয় নিয়ে চিন্তিত বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। মড়িয়া হয়ে খুঁজছেন অপশন। কিন্তু অপশন কম থাকায় নতুন কাউকে সুযোগ দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য পাপনের পছন্দ আনামুল হক বিজয়।
ডানহাতি অপশন হিসেবে আনামুলের নাম বলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মতে বিজয় হচ্ছে অপশন। আপনারা শুনলে অবাক হবেন অলরেডি ওর নামটা আমি পরশু দিনই চট্টগ্রামে থাকতেই বলে এসেছি। আমি বলেছি, ডানহাতি অপশন কে কে আছে দেখো। ওদেরকে আবার আনা যায় কি না। ওদেরকে হঠাৎ করেই তো নামানো যায় না। এর মানে এই না যে, আমি এটাই করবো।’
তবে শাহরীয়ার নাফীসকে দলে রাখার বিষয়ে খুব একটা পক্ষপাতী না পাপন। তার মতে, ‘শাহরিয়ার নাফীসের নামটা এই প্রথম শুনলাম। আমার তো একটা প্যানেল আছে, আমি সেখান থেকেই সব শুনি। বিপিএলে সে একটা ভালো ইনিংস খেলেছিল, সেটি দেখে তাকে টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড পাঠানোর কথা বলেছি। রিপ্লেসটা করবে কাকে? এই জিনিসটা আপনাদের মাথায় রাখতে হবে। যাকে রিপ্লেস করবো ওরও তো খারাপ খেলতে হবে। না হলে তো তাকে রিপ্লেস করা কঠিন। দলে রাখা এক জিনিস আর ওখানে খেলানো আরেক জিনিস।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে পরিবর্তন আসার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে পরিবর্তন আসতে পারে অবশ্যই। আমার মনে হয় আসবে। আর এই ডানহাতি-বাঁহাতির কম্বিনেশন নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। কালকে সবাই আসবে। আমি ওদের সবার সঙ্গে বসবো। ওদের কাছ থেকে শুনবো ওদের গেম প্ল্যানটা কী। প্ল্যানটা জানতে হবে। একটা প্ল্যান থাকতে হবে। হয় কী আসলে, একটা প্ল্যান থাকতে হয়, প্ল্যান অনুযায়ী আমাদে সব করতে হয়। আমরা কী প্ল্যানে খেলবো। প্ল্যান না জানলে আপনার খেলোয়াড় সেট করাটাও সহজ হবে না। একেকটা দেশের সঙ্গে একেক রকম প্ল্যান।’
গেমপ্ল্যান কীভাবে করা হয় তার উদাহরণ দিতে গিয়ে পাপন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন প্রথম টেস্টে ওদের (বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের) অনেকেরই আসার কথা ছিল না। টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডের খেলোয়ারদের বেশি সুযোগ দেয়া হয়েছে- এমনটা অনেকের কাছে মনে হতেই পারে। কিন্তু আমাদের প্ল্যানই ছিল এটা। এই পিচে লম্বা ইনিংস খেলাটা অনেক কঠিন হবে এমন ধারণা ছিল আমাদের। দ্রুত রান যারা করতে পারবে তাদের দলে নেয়া হয়েছিল। অনেককে দেয়া হয়েছিল মারার জন্য, ওরা কিন্তু ডিফেন্সিভ খেলেনি।’
তবে পাপনের কথা শুনে এই ধারণটা স্পষ্টই পাওয়া গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে সামনে রেখে দলে বড় ধরনের পরিবর্তনই আসছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টি-টোয়েন্টি খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল।