বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নে তেতুলীয়া ও কালাবদর নদীর করাল গ্রাসে সব হারিয়ে পাচঁ শতাধিক পরিবার হয়েছেন গৃহহারা। নদী বিলিন করে নিয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজার, ভুমি অফিস, শতাধিক বাড়ি-ঘর, কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা। এমন অবস্থায় গতকাল সোমবার নদীর তীরে মানববন্ধন করেছেন ইউনিয়নের দুই সহ¯্রাধিক জনগণ। অভিযোগ উঠেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে একাধিকবার নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে চিঠি দেয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয় হয়নি।
জানা গেছে, মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বেশকিছু গ্রাম কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজার, ভুমি অফিস, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে প্রায় ৫’শ মানুষ। ভাঙ্গন কবলিত ইউসুফ মিয়া জানান, তার বসতভিটা নদী ভর্গে বিলন হয়েছে। শুধু তিনিই নয় শত শত মানুষ এখন ভিটা হারা হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমনকি সরকারও তাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না। দিনে দিনে ভাঙ্গনের মাত্রা আরো কয়েকগুন বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চরম ঝুকিতে রয়েছে শ্রীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
এমন অবস্থায় ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে সোমবার মানববন্ধন করে ইউনিয়নবাসী। নদী ভাঙ্গন রক্ষা কমিটি বরিশাল জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপিও প্রদান করেছে। নদী ভাঙ্গন রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো: লোকমান হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ মোল্লা, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদ হাসান, অধ্যাপক মোঃ হোসেন জোমাদ্দার,কাজী সাখাওয়াত হোসেন রুবেল,মাওলানা আনোয়ার হোসেন, নদী ভঙ্গান রক্ষা কমিটির সোলায়মান পাশা, শাখাওয়াত হোসেন, নির্জল দেবনাথ, রিপন গাজী, আনিছুর রহমান হিমু প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। নতুবা ইউনিয়নবাসী সর্বহার হয়ে পথে বসবে।