মৃত্যুর ২০ বছর পরও আলোচনায় প্রিন্সেস ডায়ানা। যার জীবন এবং মৃত্যু কাপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ রাজতন্ত্রকে। দাতব্য কার্যক্রম, তারকা খ্যাতি ও রাজপরিবারে অস্থিরতাসহ নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়ানা।
দুর্ঘটনার এই ছবি বিশ্বকে বিস্মিত করে দিয়েছিলো। একটি মৃত্যুর খবরে শোকে নিমগ্ন হয়েছিলো পুরো ব্রিটেন। প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর ২০ বছর পেরিয়ে গেছে। প্যারিসে সেদিনের দুর্ঘটনায় মারা যান ডায়ানার সঙ্গী ডোডি আল ফায়াদ।
ডায়ানার মৃত্যুতে রাজ পরিবারের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াহীনতায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল গোটা দেশ। প্রশ্ন ওঠে তাদের প্রিয় প্রিন্সেসের মৃত্যুতে কেন লন্ডনে নেই রানী এলিজাবেথ। অবশ্য পরে লন্ডনে ফিরে ডায়ানার প্রতি শ্রদ্ধা জানান ব্রিটিশ রানী।
শুরু থেকেই ডায়ানার মৃত্যুর ইস্যুটি এড়িয়ে চলেছেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। সম্প্রতি প্রথমবারের মতো মায়ের মৃত্যু নিয়ে জনসম্মুখে কথা বলেছেন ডায়ানা পুত্র প্রিন্স উইলিয়াম এবং হ্যারি।
প্রিন্সেস ডায়ানার ছেলে প্রিন্স হ্যারি বলেন,”আমরা দুই ভাই সবসময় একে অন্যের সঙ্গে খোলামেলা। আমরা কখনই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করিনি। ওই অল্প বয়সে মাকে হারালেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলিনি। অনেক সময় দেখি, পরিবারের ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে এ ধরণের বিষয় নিয়ে কথা বলে অনেকে। আমি চাইনা ছোট বাচ্চারা এই ধরণের জটিলতার মধ্য দিয়ে যাক।”
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যপক জনপ্রিয় ছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। এইডস, ল্যান্ডমাইন ক্লিয়ারেন্স এবং মানসিক স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন দাতব্য কার্যক্রমের জন্য জনতার রাজকুমারী হয়ে মানুষের মনে চিরস্থায়ী হয়ে যান ডায়ানা।
১৯৯৬ সালে প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে, বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা, মানসিক রোগ ও বিষণ্নতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সংগ্রাম নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন ডায়ানা। যা রাজপরিবার ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি।
ডায়ানার সাবেক ব্যক্তিগত সচিব প্যাট্রিক জেফসন বলেন,”ডায়ানার মৃত্যুর পর থেকেই, তাঁকে কিভাবে স্মরণ করতে হবে সেটি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে রাজকীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তাঁর এবং প্রিন্স চার্লসের সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছিলো। আমার মনে হয়, গত দুই দশক ধরে তাঁর নাম রাজপরিবারে খুব একটা স্মরণ করা হয়নি।”
অভিযোগ রয়েছে শেষের দিনগুলোতে সংবাদমাধ্যম ও রাজপরিবারের চাপে হাঁপিয়ে উঠছিলেন ডায়ানা। এমনকি মৃত্যুর পরেও তার মানবিক উদ্যোগগুলোর চেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোই বেশি সামনে নিয়ে এসেছে সংবাদমাধ্যম।