গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে ২৭ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের বিভিন্ন সম্বন্বয়কারী সংস্থার হিসাব অনুযায়ী রাখাইন রাজ্যের গ্রামগুলোতে মিয়ানামার সেনা বাহিনীর অভিযানের কারণে ২৭ হাজার চারশ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বলে তারা ধারণা করছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
এর আগে বুধবার আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)- কক্সবাজার অফিসের প্রধান সানযুক্তা সাহানি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাদের হিসেব অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে মিয়ানমার থেকে প্রায় ১৮ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্তে কড়াকড়ি বজায় রেখেছেন। এরপরও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে বলে স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।কত সংখ্যক রোহিঙ্গা এই দফায় বাংলাদেশে ঢুকেছে সরকারিভাবে এর কোনো হিসেবে জানানো হয়নি এখন পর্যন্ত।
গত ২৫ আগস্ট তিরিশটি পুলিশ চৌকির ওপর রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে অভিযান শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এই অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। বাংলাদেশে আসার পথে নাফ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় বেশি ক’জন রোহিঙ্গা মারাও গেছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু।
বর্তমানে হাজার হাজার রোহিঙ্গা দুই দেশের মধ্যে নো ম্যানস ল্যান্ডে আটকা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যেসব রোহিঙ্গা শিশু ও তাদের পরিবার সম্প্রতি বাংলাদেশে এসেছে তাদের জন্য তারা কক্সবাজারে জরুরি ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সম্প্রতি দলে দলে আসা এসব রোহিঙ্গাদের ৮০ শতাংশই নারী এবং শিশু। বাস্তুচ্যুত এসব পরিবারের নারী ও শিশুদের জন্য তারা বিশেষ সহায়তা কেন্দ্র খুলেছেন।
ছবি : বিবিসি বাংলা