তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে সাব্বির রহমানের সঙ্গে বেধে গিয়েছিল ওয়ার্নারের। চতুর্থ দিন সকালেও সেই ওয়ার্নারের সঙ্গে বেধে যায় তামিমের। আম্পায়ার আলিম দারের হস্তক্ষেপে শান্ত হয় পরিস্থিতি। এ উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারবার।
শুধু ব্যাটে-বলে নয়, শারীরিক ভাষাতেও টাইগাররা কতটা আগ্রাসী হতে পারে সেটা টের পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মাঠে কথার লড়াই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্ন এসেছে সাকিবের কাছে। মাঠে যেমন জবাব দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনেও তেমন জবাব দিলেন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব বলেন, এটা আসলে খেলারই অংশ। অজিরা স্লেজিং খুব ভালো পারে, আমরাও ওদের থেকে শিখেছি। এটা খুবই ভালো একটা টেস্ট। এরকম ম্যাচ মানুষকে আরও টেস্ট দেখতে উৎসাহ দেয়। ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো। গত দুই বছরের পারফরম্যান্স থেকেই আমাদের আত্মবিশ্বাস আরো বেড়ে গেছে। কেউ হয়তো আমাদের ওভাবে খেয়াল করেনি, কিন্তু আমরা চুপিসারেই নিজেদের কাজটা করে গেছি।
টেস্ট শুরুর আগে এই সাকিবই বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়াকে ২-০তে হারানো সম্ভব। সেটা শুনে আবার স্টিভেন স্মিথ মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ১০০ টেস্টে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৯টি।
এবার জয়ের পর সাকিব বললেন, আশা করি, এই টেস্ট শেষে ওরা আরও বেশি সম্মান দেবে। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা আর মাঠে খেলার মধ্যে পার্থক্য আছে। ঘরের মাটিতে আমরা বিশ্বাস করি আমরা যে কাউকে হারাতে পারি, সেটা করে দেখিয়েছি।