অপারেশন থিয়েটারে শুয়ে আছেন গর্ভবতী নারী। একটু পরই হবে অস্ত্রোপচার। ঠিক সে মুহূর্তে জোরে চেঁচামেচি শুরু করে দিলেন দুই চিকিৎসক। দুজন দুজনের নাম ধরে ডেকে হুমকি দিতে শুরু করলেন। অচেতন নারীকে সামনে রেখেই ঝগড়া জারি রাখলেন দুই চিকিৎসক। তাঁদের সেই মুহূর্ত গোপনে মুঠোফোনে রেকর্ড করলেন হাসপাতালের এক কর্মী। এর পর দুই চিকিৎসকের একজন যখন সন্তানকে ভূমিষ্ঠ করেন, তখন তার কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজস্থান রাজ্যের যোধপুরে উমাইদ হাসপাতালে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
ওই হাসপাতালের কিছু কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গর্ভের সন্তানের দুর্বল হৃদস্পন্দনের কারণে জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তের পর ঝগড়া শুরু করেন দুই চিকিৎসক অশোক নেইনওয়াল ও এমএল টাক। ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. নেইনওয়াল ঝগড়ার সূত্রপাত করেন। অপারেশন থিয়েটারে আনার আগে রোগী কিছু খেয়েছে কি না, তা জিজ্ঞাসা করেন তিনি। এর পর আরেক চিকিৎসক অ্যানেসথেশিয়ান এম এল টাক কনিষ্ঠ এক চিকিৎসককে দিয়ে কিছু পরীক্ষা করাতে চেয়েছিলেন, যা পছন্দ হয়নি নেইনিওয়ালের। এ নিয়েই দুজনের মধ্যে ঝগড়া বেঁধে যায়।
ডা. নেইনিওয়াল তাঁর সহকর্মীকে বলেন, ‘আপনি নিজের আউকাতের (সীমা) মধ্যে থাকেন।’ এর পরই দুজনের মধ্যে চিল্লাচিল্লি ও নাম ধরে ডাকা শুরু হয়। একজন নার্স ও অন্য এক চিকিৎসক তাঁদের থামাতে চেয়েছিলেন।
ঘটনার পরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. নেইনিওয়াল ও এম এল টাককে বরখাস্ত করেছে।