খবরের কাগজ বা নিউজ চ্যানেলের মুখাপেক্ষী হয়ে বসে থাকার দিন শেষ। এখন জনসংযোগের বড় মাধ্যম সোশ্যাল মিডিয়া।
বর্তমানে যেকোন বিষয়ে নিজের বার্তা বা বক্তব্য ‘টুইট’ করে জানাতেই বেশি পছন্দ করেন বিশ্বের প্রায় সকল রাজনৈতিক নেতারা। তার মধ্যে অন্যতম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তাই খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের মুখ বন্ধ করতে টুইটার কিনে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ভালেরিয়া প্লাম উইলসন নামে এক মার্কিন নারী। এই কাজের জন্য অর্থ সাহায্য চেয়ে নেটিজেনদের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটার ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তিই বা একসময়ে গোপনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা CIA-এর এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন ভালেরিয়া প্লাম উইলসন। তার স্বামী জো উইলসন সাবেক মার্কিন কুটনীতিবিদ। সাবেক মার্কিন প্রেসিজেন্ট জর্জ বুশের ইরাক আক্রমণ করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে স্বামীর উপর বদলা নিতেই ভালেরিয়ার গোপন পরিচয় ফাঁস করে দেন মার্কিন প্রশাসনেরই এক কর্মকর্তা। বছর দুয়েক পর, ২০০৫ সালে CIA-এর চাকরি ছেড়ে দেন ভালেরিয়া প্লাম উইলসন।
আর এখন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘টুইট’ করা বন্ধ করতে চাইছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যপূরণের জন্য একটি অভিনব উপায় বের করেছেন এই মার্কিন মহিলা। টুইটার কিনে নেওয়ার জন্য নেটিজেনদের দ্বারস্থ হয়েছেন ভালেরিয়া। টুইটারেই রীতিমতো হ্যাশট্যাগ দিয়ে অর্থ সাহায্য চেয়ে প্রচারও চালাচ্ছেন তিনি। বস্তুত ভালেরিয়ার আবেদনে সাড়াও দিয়েছেন নেটিজেনদের অনেকেই।
ভালেরিয়া প্লাম উইলসনের অভিযোগ, টুইটারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যে মার্কিন মুলুকে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে। অশান্তি বাড়ছে। নেটিজেনদের সাহায্যে যদি টুইটার কিনে নিতে পারেন, তাহলে কথাই নেই। কিন্তু, যদি তা নাও হয়, সেক্ষেত্রে টুইটারের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কিনে নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে চান ভালেরিয়া প্লাম উইলসন। যদিও এই উদ্যোগকে একেবারেই আমল দিতে নারাজ হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারা স্যান্ডার বলেছেন, এখনও পর্যন্ত খুব সামান্য অর্থই সংগ্রহ করতে পেরেছেন ওই নারী। এর থেকে বোঝা যাচ্ছে, মার্কিন নাগরিকরাতাঁর এই উদ্যোগকে আদৌও সমর্থন করছেন না। যদিও ভালেরিয়া প্পাম উইলসনের এই উদ্যোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি টুইটার কর্তৃপক্ষ।