গরু-খাসি তো আসবেই। মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটও এবার দেখা যাবে এই বাংলাদেশের বাজারে।
কোরবানির হাট বলে কথা। পাশের দেশ ভারতের রাজস্থান ও হরিয়ানার উট ছাড়াও দেশীয় খামারের উট থাকবে কোরবানির হাটে। আসন্ন ঈদুল আজহায় শুধু গাবতলীর হাটে শতাধিক উট ও দুম্বা আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যান্য হাটে ৩০-৩৫টি উট বিক্রির জন্য রাখার কথা রয়েছে। গত বছর কোরবানিতে গরু-ছাগল কেনার পাশাপাশি উট আর দুম্বার প্রতিও আগ্রহ ছিল অনেকের। তবে দাম বেশি হওয়ায় কিনতে না পারলেও কাছ থেকে দেখেছেন, ছবি তুলছেন কেউ কেউ। ২ সেপ্টেম্বর কোরবানির ঈদ। ইতিমধ্যে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে গরু, খাসি, ভেড়া কিছু কিছু আসতে শুরু করেছে। তবে উটের দেখা এখনো মেলেনি। কোরবানি উপলক্ষে রাজধানীর অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদাররা হাট বসানো নিয়ে ব্যস্ত। ২৮ আগস্টের পর জমা শুরু হবে পশুর হাট। আরব দেশগুলোর আদলে এ দেশেও অনেকে এখন কোরবানি দিতে উট বা দুম্বা কিনছেন। চাহিদার কারণে এখন দেশে উট ও দুম্বার বাণিজ্যিক খামারও শুরু হয়েছে। তবে খুবই সীমিত আকারে। কোরবানির সময় বেশির ভাগ উট, দুম্বা আসে ভারতের রাজস্থান ও হরিয়ানা প্রদেশ থেকে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেনাপোল, বুড়িমারীর সীমান্ত দিয়ে এসব আনা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ছোট আকারের একটি উটের খামার রয়েছে। এখানে দুম্বাও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় ছোট আকারে উটের আরও একটি খামার রয়েছে। কমলাপুর হাটের পশু ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানি উপলক্ষে পাইকাররা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু কিনছেন। হাট শুরুর দুই দিন আগে তারা ঢাকায় পাঠাতে শুরু করবেন। আর পশুগুলোকে গাড়িতে তোলার আগে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। গাবতলী হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, এ হাটে উট আনার কথা রয়েছে কুড়িগ্রাম থেকে। বন্যার কারণে উট সরবরাহে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। আর কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ীরা ভারতের রাজস্থান থেকে উট নিয়ে আসেন। ভারত থেকে আনতে প্রচুর খরচ থাকায় প্রতি উটের দাম পড়বে ৬ লাখ টাকার বেশি। প্রতি বছর কোরবানিতে গরু, খাসি, মেষের পাশাপাশি উট ও দুম্বার চাহিদাও থাকে। দুম্বার দাম পৌনে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মধ্যে। এবার অ্যানথ্রাক্সের আতঙ্ক না থাকায় গরুর বাজারে ভালো আমদানি এবং দামের সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, রোজার ঈদের পরপর কোরবানির জন্য কৃষক গরু পালন শুরু করেন। জানা গেছে, গত বছরের মতো এবারও ডিপজল এন্টারপ্রাইজ গাবতলী হাটে ১০টি উট আনতে পারে। আর কমলাপুরের হাটে দেওয়ানবাগীর খামারের উট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি উটে সাধারণত ১৮০ থেকে ২৫০ কেজি মাংস হয়। বড় বড় ব্যবসায়ী ও শৌখিন শ্রেণির মানুষ এসবের ক্রেতা বেশি। আর ৫৫-৬০ কেজি মাংস হয় প্রতিটি দুম্বার।