দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে পটুয়াখালীর পায়রা নদীর উপর নির্মিত লেবুখালী সেতুর কাজ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ১৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, পায়রা সমুদ্র বন্দর ও তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের ১৮৯ কিলোমিটার পায়রা নদীর উপর নির্মিত হচ্ছে লেবুখালী সেতু। চারলেন বিশিষ্ট এই সেতুর নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০২২.২৩ কোটি টাকা। যার দৈর্ঘ্য ১৪৭০ মিটার। জিওভি, কেএফএইডি ও ওএফআইডি’র যৌথ অর্থায়নে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লনজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনেস্ট্রাকশন লিমিটেড ব্রিজের নির্মাণ কাজ করছে।
ইতোমধ্যে সেতুর ভায়াডাক্ট ২৮৬টি পাইলের মধ্যে ২২টি পাইলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২৮টি পাইলক্যাপের মধ্যে ৪টি পাইলক্যাপ ও ২৬টি পিয়ারের মধ্যে ৩টি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া নদীর তীর রক্ষা কাজের জন্য হাইড্রলজিক্যাল ও মরফলজিক্যাল স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে সেতু ও সংযোগ সড়কের জন্য ১১.০২ একর জমি অধিগ্রহণ ও ফেরিঘাট স্থানান্তর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
বরিশাল-পটুয়াখালী রুটে চলাচলকারী নিউ কাইফা পরিবহনের চালক মো. সাদেক বলেন, বর্তমানে ফেরিঘাটে পরিবহনের দির্ঘ লাইন থাকে। এতে করে আমাদের ফেরিযোগে এপার থেকে ওপার যেতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্রিজের কাজ দ্রুত শেষ হলে আমাদের আর ভোগান্তি থাকবে না।
পটুয়াখালী চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই সেতুটি নির্মাণের ফলে পটুয়াখালীর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগে আর কোনো ফেরি ভোগান্তি থাকবে না। এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে এই সেতুটি গুরুত্ব বহন করছে।
তবে ব্রিজ নির্মাণকালীন এই সড়কে ফেরি পারাপারে বিদ্যমাণ ভোগান্তি কমাতে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয়রা।