ভারত-চীন ক্রমশ সংঘর্ষের দিকেই যাচ্ছে -এমনটাই মনে করেছে কংগ্রেসাল রিসার্চ সার্ভিস রিপোর্ট (CRS)। ভবিষ্যতে ভারত ও আমেরিকার কৌশলগত সহযোগিতায় এর প্রভাব পড়তে পারে।
ফলে সমস্যায় পড়তে পারে বেইজিং।
CRS-এ দু’পাতার বিস্তারিত রিপোর্টটি China-Border Tensions at Doka La নামে প্রকাশ করা হয়েছে। সিকিমের ডোকলামে ভারত ও চীন, দুই দেশের মধ্যে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বলা হয়েছে। রিপোর্টে লেখা আছে, ক্রমবর্ধমান বিরোধ উন্মুক্ত দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। মার্কিন-ভারত কৌশলগত সহযোগিতার জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে চীনের উপর এর প্রভাব পড়তে পারে। কংগ্রেসের এর কৌশল ও কৌশলগত ডেভএলপমেন্ট সম্পর্কেও ট্রাম্প প্রশাসনকে জানাবে।
মার্কিন কংগ্রেসের একটি স্বাধীন গবেষণা শাখা হল CRS। কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সেদেশের আইন প্রণয়নকারীদের এই সংস্থাটি সাহায্য করে। এর সিদ্ধান্ত কখন কংগ্রেসের অফিসিয়াল মতামত হিসেবে বিবেচিত হয় না। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, ডোকালামে ভারত ও চীনের অবস্থান সম্পর্ক নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে আমেরিকা। দুই দেশকেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থার আসার কথা বলছে। আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করে নেওয়ার জন্যও উৎসাহ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। CRS-এর ব্রুস ভউগান জানিয়েছে, চীন ও ভারতের বর্তমান সমস্যার কারণে চীনা-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতা আরও বাড়বে। শুধু দুই দেশের ২ হাজার ১৬৭ মাইল লম্বা হিমালয় বর্ডার মধ্যেই দ্বন্দ্ব বাড়বে না, দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর এলাকার মধ্যেও সমস্যা তৈরি করবে।
তিনি লিখেছেন, চীন চাইছে ভারত যেন নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপের সদস্য না হতে পারে। ভারত কাশ্মীরের যে অংশটি দাবি করে আসছে তার মাধ্যমে চীন ও পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর উন্নত করতে চাইছে। রাষ্ট্রসংঘ থেকে পাকিস্তান ভিত্তিক সন্ত্রাসকে রক্ষা করতে চাইছে চীন। সেই সঙ্গে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের নিজের কৌশল ধরে রাখতে চাইছে। এছাড়া চায়না বেল্ট অ্যান্ড রোড সামিটে ভারত যোগ না দেওয়ায় চিন্তায় পড়েছে চীন। সেই সঙ্গে দলাই লামার অরুণাচল প্রদেশে ঢুকতে দেওয়া ও আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কও চীনকে কপালে ভাঁজ ফেলেছে।