জামালপুরে বন্যার পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পানিতে ডুবে মারা গেছেন গৃহবধূ ও দুই শিক্ষার্থীসহ চারজন। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন দুজন। নিখোঁজ রয়েছে এক ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দুপুরে জেলার মাদারগঞ্জের বালিজুড়ি গ্রামে বন্ধুদের সাথে বন্যার পানিতে গোসল করার সময় জয় নামে বালিজুড়ি হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে জয়ের লাশ উদ্ধার করে।
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. কামরুজ্জামান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাদারগঞ্জে আদারভিটা ইউনিয়নের মুকন্দবাড়ি গ্রামে দৌলতুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বাড়ি যাওয়ার সময় নদীর পাড় থেকে পানিতে পড়ে মারা যান।
একই দিন বিকেলে জামালপুর শহরের দেওয়ান পাড়ায় ব্রহ্মপুত্র নদীতে বন্যার পানিতে ডুবে হামিদা বেগম (৪৬) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। নিহত হামিদার স্বামী আব্দুল আওয়াল জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানিতে পড়ে যাওয়া পাটখড়ির বোঝা ওঠাতে গিয়ে পানির তোড়ে ডুবে যান হামিদা। পরে স্থানীয় লোকজন এক ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার করে।
এছাড়াও শুক্রবার মেলান্দহ উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের ৫ নাম্বার চরে বেলা সাড়ে ৩টায় বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে তাপসী (১২) ও আয়শা (১৩) নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী নিখোঁজ হয়।
মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাজহারুল ইলাম জানান, আয়শা নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে। খালাতো বোন তাপসিকে বন্যার পানিতে গোসল করতে যায়। এ সময় পানিতে দুই জনই নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালিয়ে আয়শার লাশ উদ্ধার করে। নিহত আয়শা নুর নবীর মেয়ে। সদর উপজেলার নান্দিনা থেকে ৫ নাম্বার চরে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এখনো তাপসি নিখোঁজ রয়েছে।
অপর দিকে ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সুরুজ্জামান মাস্টার জানান, শুক্রবার দুপুরে পেচারচর গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র মো. শাহাজালাল (২০) নিজ বাড়িতে বিদ্যুৎ লাইনের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। তাকে বাঁচাতে যায় আব্দুস সালাম (৩০)। পরে দুজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তারা দুজন সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা। চাচা-ভাতিজার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।