শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট
থেকে বইগুলো বিনামূল্যে ডাউনলোড করে পড়তে পারবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকগুলো হচ্ছে- কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ, আল আকাঈদ ওয়াল ফিকহ, আললুগাতুল আরাবিয়্যাতুল ইত্তিসালিয়্যাহ (আরবি প্রথমপত্র) এবং কাওয়াইদুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ (আরবি দ্বিতীয়পত্র)অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক একেএম ছায়েফ উল্যা বলেন, ‘সেসিপ-এর (সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম) আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কারিগরি সহযোগিতায় এ চারটি বই প্রণয়ন করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘এটি প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তুর ডিজিটাল ভার্সন যা অনলাইন বা অফলাইন সুবিধা নিয়ে কম্পিউটার ট্যাব ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে পড়া যায়। এটি একটি ই-লার্নিং ম্যাটেরিয়াল যা শিক্ষার্থীর শ্রেণি, বয়স, চাহিদা ও প্রবণতা বিবেচনা করে প্রণয়ন করা হয়েছে।’
বইতে প্রয়োজনীয় শব্দের অর্থ, বাস্তব উদাহরণ, কোন ঘটনার বিবরণ, বাস্তব দৃশ্য, ছবি বা ভিডিও সংযোজন করা হয়েছে জানিয়ে ছায়েফ উল্যা বলেন, ‘সুললিত কণ্ঠে কুরআন মজিদের সুরা ও তেলওয়াত এবং গুরুত্বপূর্ণ আরবি অংশের অডিও সংযুক্ত করা হয়েছে এতে। লিঙ্ক ও হাইপার লিঙ্ক দেওয়ার কারণে মৃত বইকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে।’এ উদ্যোগটিকে ঐহিহাসিক ও যুগান্তকারী মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শিক্ষাকে আরও সহজ ও আনন্দময় করার জন্য এ আইডিএমটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’দেশের ৬৪ জেলার ৬৪টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের এ বই নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘তারা ফলপ্রসূভাবে শিক্ষার্থীদের এটা শেখাতে পারবেন।’সহায়তা পেলে সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির বই আইডিএমটিতে রূপান্তর করা হবে বলেও জানান অধ্যাপক ছায়েফ উল্যা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আর পাঠ্যবইয়ের বোঝা নিয়ে চলতে হবে না। একটা ট্যাবের মধ্যেই সব বই থাকবে। কোন একটা শব্দ বুঝতে পারছি না, একটা টিপ দিলেই শব্দের ব্যাখ্যা চলে আসবে। উচ্চারণও শোনা যাবে। এতে জানা, বোঝা ও শেখা সহজ হয়ে যাবে।’‘এটা আমাদের জন্য বিরাট একটা পদক্ষেপ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবার ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন দ্বার উন্মুক্ত করে দিল।’আলেম-ওলামাদের হাত ধরে এ কার্যক্রমটা শুরু হয়েছে জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার ১৬টি বইয়ের এ পর্যায়ে (ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল টেক্সটবুক) করে রাখছি। আর্থিক কারণে সময় লাগছে, আমরা ওপেন করতে পারছি না। শিগগিরই এগুলো আমরা দিতে পারব।’অনুষ্ঠানে বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম কায়কোবাদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এসএম ওয়াহিদুজ্জামান, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম জাকির হোসেন ভূঞা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।