২২ লাখ টাকার বিল বকেয়া থাকায় বরিশালের শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত জেলা স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ক্রীড়া সংস্থার নামে থাকা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়াও স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সড়ক বাতির সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে সন্ধ্যার পর বরিশাল স্টেডিয়ামে ভুতুরে অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে চরম ভোগান্তী রয়েছে বরিশালের খেলোয়াররা। এছাড়া স্টেডিয়ামে কোন সংস্থার আয়োজন হলে এসব সংস্থাও পড়ছে চরম ভোগান্তি। বিদ্যুত না থাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সন্ধার পর ভূতুরে পরিবেশ সৃষ্টি হয় স্টেডিয়ামে। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর বরিশাল বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তরিকুল ইসলাম জানান, বরিশাল স্ডিটেয়ামে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নামে। ওই সংযোগের বিপরীতে বিল বকেয়া হয়েছে ২২ লক্ষাধিক টাকা। ১০ বছরের বেশী সময় ধরে বিল পরিশোধ না করায় এই পরিমান টাকা বকেয়া হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বকেয়া পরিশোধে কোন উদ্যেগ না নেওয়ায় গত সপ্তাহে স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন করা হয়েছে। তাছাড়া বিসিসি’র কাছে কয়েক লাখ টাকা বকেয়া থাকায় ষ্টেডিয়াম অভ্যন্তরের সড়ক পথে বিসিসির লাইটপোষ্টের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব নুরুল আলম নুরু জানান, কমপক্ষে ১০ বছর ধরে স্টেডিয়ামের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছেনা। তৎকালীন সময়ে যারা জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন তারা এর জন্য দায়ী। তিনি (নুরু) একবছর আগে দায়িত্ব গ্রহণের পর বকেয়া বিল কিস্তিতে এবং বর্তমান সময়ের বিল নিয়মিত পরিশোধ করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তাদের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্ত তারা এতে রাজী হননি।
গত সপ্তাহে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নামে থাকা সংযোগ সহ স্টেডিয়ামের ভেতরে বিসিসির সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। নুরুর আলম আরও বলেন, আগামী জুনে বকেয়া পরিশোধের জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তার আগে পুনরায় সংযোগ পাওয়ার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা চলাছে।