শেষ অঙ্কেও ছিল একটু জটিলতা। বার্সেলোনা ছেড়ে দিলেও লা লিগা কর্তৃপক্ষ ছাড়ছিল না। শেষ পর্যন্ত আর ধরে রাখা গেল না ব্রাজিলিয়ান সুপার স্টার নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়রকে। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা থেকে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যাওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ফেললেন নেইমার। তিনি এখন আর বার্সেলোনার নন, তিনি এখন পিএসজির ফুটবলার। আনুষ্ঠানিকভাবে এমনই ঘোষণা দিল ফরাসি ক্লাবটি।
২২২ মিলিয়ন ইউরোর (বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ১১৯ কোটি টাকা) বিনিময়ে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমালেন নেইমার। ক্লাব ফুটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ট্রান্সফারের রেকর্ড সৃষ্টি করলেন নেইমার। গত বছর অক্টোবরে চার বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করার পর বার্সেলোনা তার বাই আউট ক্লজ নির্ধারণ করে দিয়েছিল ২২২ মিলিয়ন ইউরো। সেই বাই আউট ক্লজ পরিশোধ করেই বার্সা থেকে নেইমারকে কিনে নিল পিএসজি।
উয়েফা ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতির বিরোধী ছিল ২২২ মিলিয়ন ইউরোর ট্রান্সফারের বিষয়টি। লা লিগায় এ কারণেই শুরুতে এই ট্রান্সফার গ্রহণ করতে চাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত একদিনের ব্যবধানে সব জটিলতার নিরসন হয়ে গেলো। নেইমারও সফলভাবে দলবদলের বিষয়টি সম্পন্ন করে ফেললেন। পাঁচ বছরের জন্য পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করলেন নেইমার। সঙ্গে সাইনিং বোনাস হিসেবে ৩০ মিলিয়ন ইউরো পেলেন তিনি।
পিএসজির প্রেসিডেন্ট কাতারী ব্যবসায়ী নাসের আল খলিফা বলেন, ‘প্যরিস সেন্ট জার্মেই খুবই খুশি এবং আনন্দিত যে তারা ঘোষণা করতে পারছে, নেইমার চলে এসেছেন। মূলতঃ তার আগমনের পরই আমি নিশ্চিত হলাম যে তিনি আমাদের ক্লাবের ফুটবলার হওয়ার একেবারে দ্বারপ্রান্তে। আমাদের সমর্থকদের বিপুল সমর্থনের ফলে আমরা নতুন নতুন স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলছি।’
ট্রান্সফারের মূল্যের বিষয়ে যতই জটিলতা থাকুক নেইমার নিজেই খুব করে চেয়েছিলেন বার্সেলোনা ছেড়ে দিতে। যে কারণে কোনভাবেই বেধে রাখা যায়নি তাকে। শুধু তাই নয়, বার্সা প্রেসিডেন্ট হোসে মারিয়া বার্তেম্যু উয়েফা ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতির ধুয়ো তুলেও চেষ্টা করেছিলেন আটকে রাখতে। তিনি বলেছিলেন, ‘বাই আউট ক্লজ পরিশোধ করার অর্থ হচ্ছে ফাইনান্সিয়াল ফেয়ার প্লে নীতির লঙ্ঘণ।’ এরপরও কোনো কাজ হলো না।
ক্লাব ফুটবলে ট্রান্সফারের সবচেয়ে বড় রেকর্ড ছিল পল পগবাকে জুভেন্তাস থেকে ম্যানেইউর ১০৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কিনে নেওয়াটা। নেইমারের ট্রান্সফার সেই রেকর্ডকে তো ছাড়ালই না, দ্বিগুণের চেয়েও বেশি মূল্যে তিনি গেলেন বার্সা থেকে পিএসজিতে।