স্পেনের পাঠকদের মধ্যে এক জনমত সমীক্ষা চালিয়েছিল বার্সেলোনার একটি পত্রিকা। বিষয়, নেইমারের পরিবর্তে বার্সেলোনায় কাকে দেখতে চান? নাম ছিল পাওলো দিবালা, কাইলিন এমবাপে, আন্তোনিও গ্রিজম্যান, কৌতিনহো, উসমান দেম্বেলে এবং অন্য কেউ। ৩৭ শতাংশ ভোট পেয়ে সবাইকে টেক্কা দিলেন জুভেন্তাসের আর্জেন্টাইন তারকা দিবালা।
স্পেনের পত্রিকায় নেইমারের বদলি হিসেবে উঠে আসছে নানা নাম। এর মধ্যে গ্রিয়াজমানকে পাওয়া যাবে না ধরেই এগোচ্ছে বার্সেলোনা৷ ইংল্যান্ডের কিছু মিডিয়ার দাবি , নেইমারের ট্রান্সফার থেকে যেহেতু প্রায় ২২ কোটি ইউরো লাভ হচ্ছে বার্সার, তাই একজন নয়, মোট দু-তিন জনকে টার্গেট করবে বার্সা। তারা তুলে ধরেছে আরও কয়েকটা নাম। যেখানে লিভারপুলের কৌতিনহো ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের উসমান দেম্বেলের পাশাপাশি আছেন চেলসির ইডেন হ্যাজার্ড ও টটেনহামের দেলে আলির নাম।
নেইমারের জন্য আগের দিন মেসি বার্তা দিয়েছিলেন। বিদায়ের দিন সুয়ারেজও এক হৃদয়স্পর্শী ছবি পোস্ট করলেন নেইমারকে নিয়ে। বিদায় জানালেন অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে।
এরই মধ্যে নেইমারের চার বছর বার্সেলোনায় কাটানো নিয়ে মশগুল ফুটবল দুনিয়া। আলোচনা চলছে শুধু নেইমারের ফুটবল নয়, মাঠের বাইরের জীবনযাপন নিয়েও। সে রকমই কিছু দিক তুলে ধরা হল…
প্রাইভেট বিমান
২০১৫ সালে প্রাইভেট জেট কিনেছিলেন প্রায় ১ কোটি ইউরো দিয়ে। যে বিমানে গত বছর মেসি ও মাচেরানোকে নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন নেইমার আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচ খেলতে। এছাড়া একটি ইয়টও কিনেছিলেন তিনি। তবে এই দু’টি সম্পত্তিই ব্রাজিলের আদালত কিছুদিনের জন্য বাজেয়াপ্ত করেছিল কর সংক্রান্ত মামলার জের ধরে।
চুলের বাহার ও ফ্যাশন
নিত্য নতুন চুলের কেতায় দেখা যেত নেইমারকে। কখনও ব্লন্ড চুল, কখনও স্পাইক, কখনও অদ্ভুত না জানা কোনও ছাঁট- বার্সেলোনার ভক্তরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন নেইমারের চুলের চমকে। পাশাপাশি পোশাকেও ছিল নানা বাহার। যেমন একবার ক্যাম্প ন্যুয়ে হাজির হন লাইট জ্বলা স্নিকার পায়ে। আবার ক্রিসমাসে দেখা গিয়েছিল লাল রঙের স্যুটে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং
নেইমার ইন্সটাগ্রামে ভীষণ নিয়মিত। সঙ্গে টুইটার-ফেসবুকেও চুটিয়ে চলত ছবি দেওয়া। কখনও দলের জয়, কখনও বাড়িতে একান্তে কাটানো সময়- ভক্তদের সামনে চলে আসত মাঝেমাঝেই। তার ছেলে বা বান্ধবীকেও প্রায়ই দেখা যেত এই পোস্টগুলোয়। বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খাওয়া বা স্রেফ সেলফি- ব্রাজিলিয়ান তারকা হাজির নানা রকমের মেজাজে।
বন্ধুরাই জীবন
নেইমারকে সারাক্ষণ ঘিরে থাকতেন তার কয়েকজন বন্ধু। বার্সেলোনায় আসার পর থেকেই দেখা যেত তাদের। বিশ্বে যেখানেই যেতেন, সেখানে তাকে সঙ্গ দিতেন এই বন্ধুরা। এদের একজন নেইমারের নামে এক পোশাকের ব্র্যান্ডও খুলেছিলেন।
বাবা ও বোন
নেইমারের বাবা ছেলের সঙ্গে এমন ভাবেই জড়িয়ে ছিলেন, যে বার্সা সতীর্থরাও অনেক সময় আমন্ত্রণ জানাতেন সিনিয়র নেইমারকে। ম্যাচের আগেও কখনও সতীর্থরা ডাকতেন তাকে। আবার বোন রাফায়েলার সঙ্গেও অনেক সময় ছবি পোস্ট করতেন নেইমার। ব্রাজিল থেকে এসে মাঝেমাঝেই বার্সেলোনায় কাটাতেন বোন।
নেইমারের ডামি
অনেক সময় বিজ্ঞাপনের কিছু অংশ শ্যুট করার জন্য তার ডামিকে ব্যবহার করা হত। একবার দেখা যায় তাঁকে সিগারেট খেতে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। পরে জানা যায় সেটা নেইমার ছিলেন না, ওই ডামি সিগারেট খাচ্ছিলেন।
পোকার- প্রেমী
অনেক বার্সেলোনা তারকার মতো নেইমারও পোকার খেলার ভক্ত। বাড়িতেই হোক বা ক্যাসিনোয়, পোকার খেলতে দেখা যেত তাঁকে।