বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসর শুরুর তারিখ নিয়েই একটা মধুর সমস্যায় পড়ে গেছে টুর্নামেন্টটির আয়োজক কর্তৃপক্ষ। সাধারণত পুরনো তারিখ অনুযায়ী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা বিপিএল পঞ্চম আসর; কিন্তু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল গত সপ্তাহে ঘোষণা দিয়েছিল, দুদিন এগিয়ে আনা হচ্ছে টুর্নামেন্টটি। শুরু হবে ২ নভেম্বর। তার আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ৩১ অক্টোবর।
কিন্তু এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়াচ্ছে, তাতে বিপিএল নিশ্চিত এক সপ্তাহ পেছানো ছাড়া কোনা উপায় খোলা নেই আয়োজক কমিটির সামনে। আর যদি পেছাতে না চায় তারা, তাহলে ঢাকার পরিবর্তে বিপিএলের প্রথম পর্বটা আয়োজন করতে হবে চট্টগ্রামে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজ বিকেলে জানান, ১ থেকে ৮ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সেমিনার। এ কারণেই ওই সময় ঢাকায় অন্তত বিপিএল আয়োজন করা সম্ভব নয়। কমনওয়েলথভুক্ত ৫২টি দেশের পার্লামেন্টারিয়ানরা তখন আসবেন ঢাকায়। ৫০০’রও বেশি বিদেশি পার্লামেন্টারিয়ানের আগমন ঘটবে তখন বাংলাদেশে।
এ অবস্থায় বিপিএলের আটটি ফ্রাঞ্চাইজির জন্য ঢাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না। ফলে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সেমিনার শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় বিপিএল আয়োজন করাও সম্ভব নয়।
যদিও অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিসিবি বিপিএলের শুরুর তারিখ ২ দিন এগিয়ে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু নতুন সৃষ্টি হওয়া পরিস্থিতিতে কী আবার এক সপ্তাহ বিপিএল পেছানো হবে নাকি ভিন্ন কোনো চিন্তা করবে বিসিবি? তা এখনও জানা যায়নি।
তবে, বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই সূত্রটি জানিয়েছেন, ‘বিদেশি কোনো লিগের সঙ্গে সময়ের সংঘাত হতে পারে- এমন শঙ্কা থাকলে হয়তো বিপিএলের প্রথম পর্ব চট্টগ্রামে আয়োজন করা হতে পারে। অচিরেই হয়তো এ বিষয়ে বিসিবি থেকে কোনো ঘোষণা আসতে পারে।’
বিসিবির সূত্রটি জানিয়েছে, সাধারণ ২ থেকে ৩ মাস আগে হোটেল বুকিং দিয়ে রাখতে হয়। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিপিএলের জন্য হোটেল বুকিং দিতে গিয়েই তারা জেনেছেন নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কনওয়েলথ পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের সেমিনার। ওই সময় বিপিএলের জন্য হোটেল বুকিং দেয়া সম্ভব নয়।