সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল কাতিফে জঙ্গিদের গুলিতে ১ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত বাংলাদেশি হলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মোজাফফর খানের ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আলমগীর।
গত বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনা ঘটলেও দূতাবাস সোমবার বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, পূর্বাঞ্চলের কাতিফ এলাকার আল মাসওয়ারাহ এবং আওয়ামিয়াহ এলাকায় চিরুনি অভিযান চলছে। গত একবছর ধরে পরিত্যক্ত ঘোষিত আল মাসওয়ারাহ এলাকা অবৈধ অভিবাসী এবং জঙ্গিদের আস্থানা হিসেবে পরিচিত। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে গুলাগুলি হয়।
সৌদি নিরাপত্তা কর্মীরা (পুলিশ,আর্মি ও এলিটফোর্স) প্রায়ই সেখানে জঙ্গিদের হামলার শিকার হন। তাঁরপরও তারা সেখানে দায়িত্ব পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোপূর্বে সেখানে প্রায় ৬-৮জন বিদেশি নিহত হয়েছেন।
গত সপ্তাহে সৌদি সরকার কর্তৃক ওই এলাকার আশ-পাশের সকল রাস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে শুধুমাত্র ক্বাতিফ জেলখানা এবং নর্থ ক্বাতিফ (শিমালুল ক্বাতিফ) থানার পাশ্ববর্তী রাস্তা ব্যবহার করতে। উক্ত এলাকা হতে বের হয়ে যেতে ইচ্ছুকদের পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে বিকাল ৪ঘটিকার পূর্বে নির্দিষ্ট রাস্তা (জেল খানার পাশেরটা) ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে গত ২৮ জুলাই।
জনশ্রুতি আছে ওই এলাকায় ইতোপূর্বে জঙ্গিরা হত্যাকর্ম সম্পাদন করে গোপনে লাশ পুতে ফেলত, এছাড়াও জঙ্গিদের হাতিয়ারের মজুদও ওই এলাকায় আছে, যার কারণে ১ বছর পূর্ব হতেই সৌদি সরকার সবাইকে প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দিয়ে ওই এলাকা ছাড়তে আদেশ দিয়েছিল। ওই এলাকায় কে কখন মারা যায় তাঁর তথ্যও সঠিক সময়ে পাওয়া যায়না। মৃতদেহ পাওয়া গেলেও তাঁর পরিচয় শনাক্তকরণ এবং তা উদ্ধার করা সময় সাপেক্ষ হয়ে থাকে বলেও জানায় সূত্রটি।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ ধরে ওই এলাকার মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যাম করে দেয়া হয়েছে। আর এই কারণে কোন বাংলাদেশি মারা গেলেও তাঁর পরিবার বা অন্যান্যরা কোন খবর পাচ্ছেন না।
তাই উক্ত এলাকায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিগণ দ্রুত উক্ত এলাকা ত্যাগ করতে এবং উক্ত এলাকা থেকে বের হয়ে অন্যত্র স্থানান্তর হওয়ায় জন্য বাংলাদেশিদের পরামর্শ দিয়েছেন ওই অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত দূতবাসের আইন সহায়তাকারী মোহাম্মদ ফয়সাল।