বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর কিডনি’র রক্তনালীতে (রেনাল আর্টারি) সফলভাবে রিং সংযোজন করা হয়েছে।
তিনি জানান, বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের একাধিক রোগীর হার্টে রিং আর প্রেসমেকার সংযোজনের পর আজ বুধবার প্রথমবারের মতো দুই কিডনির রক্তনালীতে রিং সংযোজনের কাজটি সফলভাবে করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জয়নাল আবেদীন দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমাত্রার রক্তচাপে ভুগছিলেন। উচ্চমাত্রার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও কিছুতেই তা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে তিনি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
চিকিৎসকদের মতে, সাধারণত কিডনির রক্তনালী ব্লক থাকায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় না। ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. এম সালেহ উদ্দীন কিডনির এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করে দেখতে পান তার ডান কিডনির রক্তনালী ৯০ ভাগ এবং বাম কিডনির রক্তনালী ৯৫ ভাগ ব্লক। এ অবস্থায় তিনি রোগীর দুই কিডনির রক্তনালীতে রিং বসানো উদ্যোগ নেন।
রোগীর স্বজনরা রিং সরবরাহ করে দিলে বুধবার (২৬ জুলাই) শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অত্যাধুনিক মেশিনের সহায্যে জয়নাল আবেদীন এর দুই কিডনির রক্তনালীতে সফলভাবে রিং সংযোজন করেন। রোগীর স্বজনদের দুটি রিং ক্রয়ের জন্য খরচ হয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর হাসপাতালে ফি জমা দিতে হয়েছে মাত্র দুই হাজার টাকা।
রোগীর স্ত্রী ফাতেমা বেগম জানান, এর আগে রাজধানী ঢাকার একটি ক্লিনিক দুই কিডনির রক্তনালীতে রিং সংযোজনের জন্য চেয়েছিলো ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা। এখানে কম খরচে অপারেশন করিয়ে আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। যদিও এজন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
অপারেশনের নেতৃত্ব দেয়া শেবাচিম হাসপাতালের কার্ডিওলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইন্টারভেশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ এম সালেহ উদ্দীন জানান, রোগী জয়নাল আবেদীন’র কিডনির রক্তনালীতে জরুরি ভিত্তিতে রিং সংযোজন করা না হলে তার কিডনী দুটিই নষ্ট হয়ে যেতো। অজ্ঞান না করে ৩০ মিনিটের মধ্যে রোগীর এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। রোগী বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিনিয়ত বরিশালে এই অপারেশন করতে প্রয়োজন শুধু জনবল।