মঙ্গলবার , ২৫ জুলাই ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

জনবান্ধব এক পুলিশ সুপারের কথা…

প্রতিবেদক
Alltime BD News24 .com
জুলাই ২৫, ২০১৭ ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ
এস এম আক্তারুজ্জামান

রিপোর্টঃ রাইসুল ইসলাম অভি্‌:

দুই বছরের মেয়াদকালে বরিশালের প্রায় শতাধীক অসহায়ের পাশে সহায় হয়ে দাড়িয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার এস এম আকতারুজ্জামান।বরিশাল জেলা পুলিশের কর্নধার হয়েও সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সমাজ সেবার ইচ্ছায় অতান্ত্য গোপনীয়তা বজায় রেখে বিভিন্ন অসহায় ব্যক্তিকে চিকিৎসা , শিক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা করে পাশে দাড়িয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের চৌকষ এ কর্মকর্তা।বিষয়টি এতদিন তার ঘনিষ্ঠজন ও ডির্পাটমেন্টের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি  বেশকিছু বিষয় নিয়ে অহেতুক পুলিশ সুপারকে জড়িয়ে নিন্দুকেরা সমালোচনা করলে তার ডির্পাটমেন্টের এবং সুবিধা পাওয়া ঐ সকল অসহায়দের মধ্য থেকে সামনে আসতে শুরু করে।সুজন আহম্মেদ নামে জনৈক এক ব্যক্তির ফেসবুকে পোষ্ট থেকে জানা যায়, বাবুগঞ্জউপজেলার সাদেক খাঁ কুমারিয়ার পিঠের গৃহ হারা ৭০ বছরের কুলসুম বেগম। ৫ জনের অভাবের সংসারচলছিল কোন রকম তার উপর গত ১৮মে অসহায় কুলসুমের এক মাত্র কুঁড়ে ঘরটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়েছাই হয়ে গিয়েছিল। তার পরিবারে ৮০ বছরের বৃদ্ধ স্বামী আঃ কাদের, ছেলে, ছেলের স্ত্রী ও নাতনী। ৫সদস্যের সংসার নিয়ে গৃহহীন হয়ে শুরু হয় মানবেতর জীবন যাপন। কি খাবেন কোথায় যাবেন ? ঘটনারকয়েকদিন পরে পুলিশ সুপার এস এম আক্তারউজ্জামান মূলাদী উপজেলায় যেতে স্থানীয় মীরগঞ্জ ঘাট থেকেট্রলার যোগে মুলাদী নদীর পাড়ে পৌঁছলে, কুলসুম বুঝে হোক আর না বুঝে হোক পুলিশ সুপার মহোদয়েরকাছে তার অবস্থার বর্ণনা দিয়ে আর্থিক সাহায্য কামনা করেন। কুলসুম ভেবেছিলেন হয়ত দু এক শতটাকা দিবেন কিন্তু না, তার ধারনাকে পাল্টে দিয়ে পুলিশ সুপার যা করলেন তাতে কুলসুম বাক শূন্য হয়েপরেছে। কুলসুমের কথায় পুলিশ সুপার মহোদয় সংঙ্গে থাকা বাবুগঞ্জ থানার ওসি আব্দুস সালামকে দ্রুতকুলসুমের ঘরটি নতুন করে নির্মাণ করে দেবার নির্দেশ দেন।

সে মোতাবেক ওসি আব্দুস সালাম মাত্রকয়েক দিনের মধ্যে কুলসুমের ঘরটি নির্মাণ করে দেন এবং নির্মাণে কাঠ মিস্ত্রী, কাঠ, টিনসহ যাবতীয় খরচসম্পূর্ন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে বহন করেন পুলিশ সুপার এসএম আক্তারউজ্জামান। এখানেই শেষ নয়,জানা গেছে এখন পর্যন্ত বিএম কলেজ,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ  অনেক মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে তার কাছ থেকে ২০০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা পান।পুলিশ সুপারের কার্যালয় সুত্রে জানা যায় এসপি আক্তারুজ্জামান ২০১৫ সালে উজিরপুরে এক বৃদ্ধার লাশ টাকার অভাবে দাফন হচ্ছিল না সেখানে তিনি ৫০০০ টাকা দয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।জেলার প্রতন্ত্য অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে সাউন্ড সিস্টেম প্রদান,বরিশালের বিভিন্ন মসজিদ ও এতিমখানায় তিনি মোটা অংকের আর্থিক সহায়তা করেছেন।বরিশালের এক নিহত এক সংবাদকর্মীর পরিবারকে প্রতিমাসেইআর্থিক সহায়তা প্রদান,বরিশালের কলেজ রো এলাকার ড্রাইভার লিটনের অবুঝ ৩ বছরের সন্তানের আবদুল্লাহর হৃদপিন্ডে ২টি ছিদ্র ধরা পড়ে।যা অতান্ত্য ব্যয়বহুল একটি চিকিৎসা ছিল।এ চিকিৎসায় এসপি আক্তার নিজের ব্যক্তিগত টাকা থেকে ১লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিয়ে বিশাল উদারতার পরিচয় দেন।এছাড়া তার অফিসে সহায়তার জন্য কেউ গয়ে খালি হাতে ফিরেছে এমন নজির নেই বললেই চলে।এ ছাড়া পুলিশ সদস্যদের কল্যানে তিনি রেখেছেন বিরল ভুমিকা, অসুস্থ পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা করানো।জেলা পুলিশের শিল্পীগোষ্ঠী ও খেলোয়ারদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের আয়োজন এবং তাদেরকে বিভিন্ন পুরুষ্কার প্রদান করে উৎসাহ দান।জেলার অন্তগত বিভিন্ন থানার অফিসারদের বিভিন্ন মামলা ও আসামী গ্রেফতারের পর আর্থিক পুরুষ্কার প্রদান করে তাদেরকে উৎসাহিত করেছেন।বরিশল জেলা পুলিশের একটি থানার এক অফিসার ইনচার্জ নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান,এসপি স্যার এমন একটি অবস্থানে অফিসারদের দাড় করিয়েছেন যে কোন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এখন আর নিজে থেকেই কোন গ্রুপ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতে যায়না।কারন মামলার রেজাল্ট ভাল হলে বা কোন গুরুত্বপূর্ন আসামী গ্রেফতার হলে এসপি তহবিল থেকে যে অর্থ পুরষ্কার দেন তাতে আর ঘুষ খাওয়া লাগেনা।সম্প্রতি চৌকষ এ পুলিশ কর্তা চালু করেছেন হানিমুন প্যাকেজ।জেলা পুলিশের নববিবাহিত সদস্যদের হানিমুনে পাঠাচ্ছেন সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায়।এ জন্য তিনি ৩০০০করে টাকাও দিচ্ছেন।পুলিশ সদস্যদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে এ উদ্যেগ বলে জানা গেছে।এ ছাড়া জেলা পুলিশের অন্তর্গত ১০টি থানায় প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন অসহায় দরিদ্রদের একবেলা ভাল খাবার খাওয়ার জন্য ঘরপ্রতি ৫০০ টাকা অর্থ সহায়তা করেন।

(Visited ৫৭ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি