বুধবার , ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

অনেক ভালোবাসতো।।

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬ ১২:১৬ অপরাহ্ণ

লেখক: সায়েম।

প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিল
সুমন আর স্নিগ্ধীতা।
প্রথম তিন মাস ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে একটু
কষ্ট করতে হয়েছিল,
কিন্তু
তিনমাস পর সুমন একটা ভালো চাকরি পাওয়ায় বড় একটা ফ্ল্যাটে উঠে যায় ওরা।

প্রথম প্রথম ভালোই চলছিল।
হঠাৎ করে স্নিগ্ধীতা লক্ষ্য করে সুমন
একটু বেশি পরিবর্তন হয়েছে।
যেমন আগে সুমন মাঝে মাঝেই ঘুরতে নিয়ে যেতো।
উইকেন্ডে সিনেমা দেখাতে,
বাইরে খাওয়াতে অথবা শপিং এ নিয়ে যেতো,
অনেক ভালোবাসতো।
কিন্তু এখন?
উইকেন্ডে ও সুমন অফিসে যায়।
বাড়িতে আসার পর কিরকম খিটমিটে
মেজাজ নিয়ে থাকে।

স্নিগ্ধীতার সাথে অকারণেই ঝগড়া করে।
সুমনের এ হঠাৎ পরিবর্তনে
স্নিগ্ধীতার খুব কষ্ট হয়।
এইতো সেদিন সুমনের ফোনে একটা মেসেজ
এসেছে।
স্নিগ্ধীতা সামনে ছিলো,
ফোনটা হাতে নিতেই সুমন ছোঁ মেরে এসে ফোনটা নিয়ে নেয়!
আর এত্তগুলা কথা শুনিয়ে দেয় স্নিগ্ধীতাকে।
স্বামীর ফোন স্ত্রী হাতে নেয়াটা তো
অন্যায়ের কিছু নয়।

বেলকনিতে স্নিগ্ধীতা আর
সুমন মিলে অনেক গুলো গোলাপ গাছ লাগিয়ে ছিলো,
অনেকদিন হয়ে গেছে কিন্তু সেই গাছে ফুল হয়নি।
এত্ত বড় এ্যাপার্টমেন্টে স্নিগধীতার থাকতে দম বন্ধ লাগে,
তাই দিনের বেশিরভাগ সময় স্নিগ্ধীতা এই গাছগুলোর সাথে গল্প করে
,তার সুখ দুঃখের গল্প।
স্নিগ্ধীতার বাবা মায়ের কথাও খুব মনে পড়ে।
একাকিত্ব তার জীবনটাকে গ্রাস করে।
সুমন বাড়ি এসে ডিনার করেই
ল্যাপটপটা সামনে নিয়ে বসে।
স্নিগ্ধীতা বিছানার একপাশে
চুপটি করে শুয়ে থাকে।
আগের মত সুমন বিছানায় এসে
লক্ষী বৌ বলে জড়িয়ে ও ধরেনা।
আজকাল তো ওদের মাঝে কথা ও হয়না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস।
খুব যত্ন করে সুমনের ফেবারিট চকোলেট কেক বানিয়ে সারাটা দিন অপেক্ষা করেছে,
সুমন বাড়িতে আসেনি।
পরদিন ভোরে বাড়িতে এসেছে।
স্নিগ্ধীতা ও জিজ্ঞাসা করেনি
সারারাত কোথায়
ছিলো অথবা কেন বাড়িতে আসেনি।
একাকিত্ব আর অবহেলায়
জর্জরিত স্নিগ্ধীতা একসময় দরজা জানালা বন্ধ করে
অন্ধকার ঘরে থাকতে শুরু করে।

সুমন আর স্নিগ্ধীতার মাঝখানে
একজন তৃতীয় ব্যাক্তি ছিলো।
সুমনের সুন্দরি কলিগ রূপা।
সুমনের বিবাহিত জানার পরেও
রূপা ওর সাথে সম্পর্কে জড়ায়।
কিছু দিন যেতে না যেতে সুমনের
উপর থেকে রূপা আগ্রহ হারিয়ে অফিসের বসের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্কে জড়ায়।

সুমন ফিরে আসে স্নিগ্ধীতার কাছে।
কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে,
স্নিগ্ধীতা এখন কথা বলতে পারেনা,
সব সময় অন্ধকারে থাকার ফলে
আলো সহ্য করতে পারেনা।
সুমন বড় বড় ডাক্তার দেখায় স্নিগ্ধীতাকে।
সব ডাক্তারের একই কথা
স্নিগ্ধীতা যে স্টেজে আছে
এখন থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা মাত্র ৫%!
আর ভালোবাসা এবং সময় ই হলো ওর একমাত্র ঔষধ।
এখন সুমন স্নিগ্ধীতাকে খুব টেক কেয়ার করে,
খুব ভালোবাসে।
কিন্তু
স্নিগ্ধীতা সেটা বোঝার ক্ষমতাই যে হারিয়ে ফেলেছে।।

[বিঃদ্রঃ

অনেকই দেখা যায় বিয়ের পর পরকিয়ায়
জড়াতে।
অথবা প্রেমিকাকে ধোঁকা দিয়ে অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক গড়তে।
আপনাদের কি একবার ও মনে হয়না যে মানুষটা পাগলের মত আপনাকে ভালোবাসে,
অন্ধের মত বিশ্বাস করে সেই মানুষটির সাথে প্রতারণা করতে?
মনে রাখবেন,আপনার একটি ভুলের কারনে
একটি জীবন ধ্বংস হয়ে যেতে পারে!!!]

________________________sayem

(Visited ৬ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি