এ বছর সৌদি সরকার ই-ভিসা চালু করায় খানিকটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হজযাত্রীদের। সারা বিশ্ব থেকে হজযাত্রীরা একসঙ্গে ই-ভিসার জন্য আবেদন করায় চাপ পড়ছে সৌদি আরবে থাকা সার্ভারে। ফলে ভিসা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হজযাত্রী ও এজেন্সির প্রতিনিধিরা।
চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২৪ জুলাই থেকে। হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশের (হাব) সিনিয়র সদস্য কবির হোসেন বলেন, ই-ভিসা সংগ্রহে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে কিন্তু সৌদি আরব নিয়ন্ত্রিত সাইটে সমস্যা বলে আমাদের কারও কিছু করার নাই। তবে ই-ভিসা নিয়ে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না উল্লেখ করে অনেকেই বলছেন, এ বছর হজ ব্যবস্থাপনা গতবারের তুলনায় অনেক। গত বছর যে পদ্ধতি ছিল, সেখানে পাসপোর্টের সঙ্গে ভিসা সংযুক্ত করা যেত। এ বছর তা না করে সেখানে আলাদা ফরম প্রিন্ট করে দেয়া হচ্ছে। প্রিন্ট করা ই-ভিসাটি পাসপের্টের সঙ্গে পিন দিয়ে আটকে রাখতে হচ্ছে।
এই নতুন পদ্ধতির কারণে কোন ভোগান্তি হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নরে জবাবে কবির হোসেন বলেন, প্রথম প্রথম যেকোনো বিষয় একটু জটিল মনে হয়। খুব বড় কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বেশিরভাগ এজেন্সি মালিক। মিনা ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আমিন মোহাম্মদ বলেন, এই পদ্ধতিতে অসুবিধাও আছে। ই-ভিসাটি আলাদা রাখার কারণে যেকোনো সময় হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগে পাসপোর্টে ষ্ট্যাম্পিং করা ষ্টিকারে এই ভয় ছিল না।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনে যাবেন। এদের মধ্যে সরকারিভাবে যাচ্ছেন ৪ হাজার ২০০ জন। আর বেসরকারিভাবে যাচ্ছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯৯৮ জন। হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ সৌদি এয়ারলাইন্সে এবং বাকিরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে করে সৌদি আরব যাবেন।
২৪ জুলাই সকালে প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবে এবং ২৬ আগস্ট সর্বশেষ হজ ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে। এ বছর মোট ১৭৭টি ফ্লাইট হজযাত্রীদের বহন করবে। এর মধ্যে ডেডিকেটেড ফ্লাইট ১৪৪টি এবং সিডিউলড ফ্লাইট ৩৩টি। হজ পালন শেষে জেদ্দা থেকে প্রথম ফ্লাইট ৬ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ হজ ফ্লাইট ৫ অক্টোবর বাংলাদেশে আসবে। হজযাত্রীদের নিয়ে ১৬৯টি ফ্লাইট ঢাকায় আসবে। এর মধ্যে ডেডিকেটেড ফ্লাইট ১৩৯টি এবং সিডিউলড ফ্লাইট ৩৩টি।