ভারতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাম নাথ কোবিন্দের বিজয়কে ঐতিহাসিক হিসেবে অাখ্যা দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু দলিত সম্প্রদায়ের এই গভর্নর রাষ্ট্রপতি হয়েও রেকর্ড গড়তে পারলেন না। কারণ তিনি যে দলিত সম্প্রদায় থেকে নির্বাচিত দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। তার আগে ১৯৯৭ সালে কে আর নারায়ন প্রথম বিজেপির দলিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। খবর এনডিটিভির।
অপরদিকে কোবিন্দর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা দলিত সম্প্রদায়ের মীরা কুমার নির্বাচনে হেরে গিয়েও ইতিহাস গড়লেন। শুধু ইতিহাস গড়েছেন তাই নয়, তিনি দীর্ঘ পাঁচ দশকের রেকর্ডও ভেঙেছেন। তবে সেটা অবশ্য দলিত হিসেবে নয়, নির্বাচনে হেরে যাওয়া এ যাবৎকালের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন তিনি।
সর্বমোট ১০ দশমিক ৬৯ ভোটের মধ্যে মীরা কুমার পেয়েছেন ৩ দশমিক ৬৭ ভোট। এর অাগে ১৯৬৭ সালে বিচারপতি রাও ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ ভোট পেয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। এত বছর পর সেই রেকর্ড ভেঙে দিলেন মীরা কুমার।
বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর নিজের অাবেগ ধরে রাখতে না পেরে রামনাথ কোবিন্দ বলে বসেন, এটা আমার কাছে অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত। আমি সবার প্রতিনিধিত্ব করব।
রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের পর থেকে কোবিন্দের দিকেই জয়ের পাল্লা ঝুঁকে ছিল। নির্বাচনে সেটাই ঘটল। রাইসিনা হিলসে যাওয়ার পথে কোবিন্দ পেলেন দুই হাজার নয়শ ৩০ ভোট। যার ভোটমূল্য সাত লাখ দুই হাজার ৪৪।
রিটার্নিং অফিসার অনুপ মিশ্র জানিয়েছেন, কোবিন্দের প্রতিদ্বন্দ্বী মীরা কুমার পেয়েছেন এক হাজার আটশ ৪৪ ভোট। তার ভোটমূল্য তিন লাখ ৬৭ হাজার তিনশ ১৪।
১০ নম্বর আকবর রোড থেকে বিজয়ী ভাষণে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী মীরা কুমারকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি কোবিন্দ। সেই সঙ্গে স্মরণ করেছেন রাজনীতির আঙিনায় তার পূর্বসুরীদেরও। এস রাধাকৃষ্ণণ, এপিজে আব্দুল কালাম এবং প্রণব মুখার্জীর মত বিশিষ্টদের পদচিহ্ন অনুসরণ করাটাও তার কাছে সম্মানের বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কোবিন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মীরা কুমারও। তবে সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে সংবিধানের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করাটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। আদর্শের জন্য নিজের লড়াই চলতেই থাকবে বলেও জানান তিনি।