বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির মামলায় বরিশালের যে বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমানের মামলা যার আদালতে চলছে সেই বিচারক আলী হোসাইন বরিশাল সার্কিট হাউজে সাত মাস থাকার পরও ভাড়া পরিশোধ করেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা পরিশোধের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিচারককে চিঠি পাঠানো হলেও তিনি ইতিবাচক সাড়া দেননি।
আমাদের কাছে এই চিঠির একটি কপিও রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এই পত্রের ছবির কপি ছড়িয়ে পড়েছে। পরে বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান। তিনি জানান, বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আলী হোসাইন সাত মাস বরিশাল সার্কিট হাউসে বাস করেছেন। এর মধ্যে ভাড়া দিয়েছেন কেবল পাঁচ দিনের।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমি ২০১৫ সালে যোগদানের আগ থেকেই তিনি এখানে থাকতেন। তিনি দীর্ঘদিন এখানে বাস করায় রেজিস্ট্রি এন্ট্রির মাধ্যমে তার কাছ থেকে প্রায় ৯৩ হাজার টাকা ভাড়া পাওনা ছিল। বিষয়টি প্রথমে তাকে জানানো হলেও তিনি কোনো সদুত্তর দেয়নি। পরে চিঠিও দেয়া হয়েছিল। তাতেও কোন কাজ হয়নি। একদিন জানতে পারি তিনি হঠাৎ করে সার্কিট হাউস ছেড়ে চলে গেছেন। ’
‘আলী হোসাইন যে এখান থেকে চলে গেছে, সে বিষয়টিও আমাকে জানাননি তিনি’-বলেন বরিশালের জেলা প্রশাসক।
বকেয়া ভাড়া পরিশোধে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট বিচারক আলী হোসাইনকে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নেজারত শাখা থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়। এতে বলা হয়, এই বিচারক বরিশাল সার্কিট হাউজের পুরাতন ভবনের সাত নয় কক্ষটি ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনের মোট ৩৯০ টাকা ভাড়া পরিশোধ করা হলেও বাকি দিনগুলোর জন্য কোনো ভাড়া দেননি।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ওই কক্ষে এক থেকে তিন দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ৯০ টাকা হারে এবং চার থেকে সাত দিন পর্যন্ত ১২০ টাকা হারে এবং সাত দিনের ঊর্ধ্বে প্রতিদিনের জন্য চারশ টাকা হিসাবে ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। এই হিসাবে ওই বিচারকের কাছে মোট পাওনা হয় ৯৩ হাজার ৯৫০ টাকা।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি পাওনা পরিশোধ করার জন্য অত্র কার্যালয়ের বিগত ২৬ মে ২০১৬ তারিখে আপনাকে পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এরপরও আপনি ধারাবাহিকভাবে ২৬/০৬/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত কক্ষটি ব্যবহার করেছেন। ’
তবে এ বিষয়ে বরিশাল মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের সাথে কথা বা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরটিতে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমান বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে মামলা হয় গত ৭ জুন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী অদ্রিজা করের ছবি ব্যবহার করে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্র ছাপায় উপজেলা প্রশাসন। বরিশাল আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ উবায়েদ উল্লাহ সাজু এই ছবি ব্যবহার করায় ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার দাবি, এই ছবিটিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারি পাওনা পরিশোধ করার জন্য অত্র কার্যালয়ের বিগত ২৬ মে ২০১৬ তারিখে আপনাকে পত্র প্রেরণ করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এরপরও আপনি ধারাবাহিকভাবে ২৬/০৬/২০১৬ তারিখ পর্যন্ত কক্ষটি ব্যবহার করেছেন। ’
তবে এ বিষয়ে বরিশাল মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের সাথে কথা বা যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বরটিতে একাধিকবার ফোন করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমান বরিশালের আগৈলঝরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে বিচারক আলী হোসাইনের আদালতে মামলা হয় গত ৭ জুন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী অদ্রিজা করের ছবি ব্যবহার করে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্র ছাপায় উপজেলা প্রশাসন। বরিশাল আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ উবায়েদ উল্লাহ সাজু এই ছবি ব্যবহার করায় ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তার দাবি, এই ছবিটিতে বঙ্গবন্ধুকে বিকৃত করা হয়েছে।