সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে নেজেদের যাচাই করতে গিয়েছিল বিসিবির হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল। সেখানে স্থানীয় নর্দার্ন টেরিটরির সঙ্গে পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি তিনদিনের ম্যাচ খেলে গত সোমবার রাতে দেশে ফিরেছে লিটন দাসের নেতৃত্ব দেওয়া দলটি। সেখানে দারুণ সাফল্যও পেয়েছে এইচপির এই দলটি। সঙ্গে দারুণ পারফরমেন্স করেছেন দলপতি লিটন। তবে, এ সফলতা আপাতত জাতীয় দলের দিকে টানছে না বলে সাফ জানিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
বুধবার (১৯ জুলাই) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে সাংবাকিদের এক প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, ‘জাতীয় দল নিয়ে আমার মাথায় এখন কোনও চিন্তা নেই। আমি গিয়েছিলাম এইচপির হয়ে। যে উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম, তাতে সফল হয়েছি।’
এদিকে নিজের পারফরম্যান্সের বিশ্লেষণ করে লিটন বলেন, ‘আমার ব্যাটিংয়ে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল। কিন্তু পারিনি। ফর্ম সব সময় থাকে না। আর কন্ডিশন আমাদের অনুকূলে ছিল না। প্রথম দিন যাওয়ার পরই আমাদের একটা অন্যরকম অনুভূতি এসেছে। কারণ এখানকার আবহাওয়া, আর ওখানকার আবহাওয়া একটু ভিন্ন। প্রথম ম্যাচটি আমরা অনেক কষ্ট করে জিতেছি। তবে বেশ কিছু পরিকল্পনায় আমরা সফল হতে পারিনি।’
নিজের ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দলীয় ব্যাটিংটাও ভালো ছিল না দলের। আর তাতে হতাশা ঝরেছে লিটনের কণ্ঠে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলীয়ভাবে আমরা আরও একটু ভালো খেলতে পারতাম। আমরা তিনশ’র বেশি কিন্তু একটি ম্যাচেই করেছি। আর এটাও ঠিক যে সুযোগও বেশি পাইনি। পরে ব্যাটিং করেছি দুই-তিনটি ম্যাচে। যদি সুযোগ হত এবং আরও কয়েকটা সেঞ্চুরি হত, তাহলে আরও ভালো লাগতো।’
ডারউইনে শেখার উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়া এইচপি দলের এই সফরটা ভালো হয়েছে বলে মনে করেন লিটন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এখান থেকে গিয়েছিলাম কিছু শেখার জন্য। আবহাওয়া কেমন, উইকেটটা কেমন, উইকেট নিয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ করা যায় নাকি- এগুলোতেই আমার মূল লক্ষ্য ছিল। সবারই কম-বেশি এটা লক্ষ্য ছিল।’
বিশেষ কী শিখলেন এমন প্রশ্নে লিটনের উত্তর, ‘অনেক কিছুই শিখেছি। ওই উইকেট থেকে আমাদের উইকেট অনেক ভিন্ন। আমাদের এখানে অনেক বেশি ঘাম ঝরে। দশ মিনিট খেললেও প্রচুর পরিমাণে শরীর ঘামে। কিন্তু ওখানে ওটা হয় না। আবার ওখানে প্রচুর পরিমাণে বাতাস থাকে। এটা অনেক সময় পক্ষে থাকে আবার বিপক্ষেও চলে যায়। এসব বিষয়েই খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’