মোঃ শাহাজাদা হিরা গতকাল ১৯ জুলাই বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বুধবার দুপুরে দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করার অভিযোগে দায়ের করা পাঁচ কোটি টাকার মানহানী মামলায় বরগুনার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিক সালমানকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আলী হোসেন। গাজী তারিক সালমন বর্তমানে বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। এর পূর্বে গত ৭ জুন একই আদালতে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তখন আমলে নিয়ে নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন আদালত। পরবর্তী তারিখ ধার্য ছিল আজ। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শেখ আ. কাদের মামলার আরজির বরাতে জানায়, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন যে কর্মসূচির আয়োজন করে তার জন্য আমন্ত্রণপত্রে ছাপানো হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত ওই আমন্ত্রণপত্রের কার্ডে যে ছবি ব্যবহার করা হয় তা ছিল বিকৃত এবং কাড্রের শেষের পাতায়।ওই আমন্ত্রণপত্র হাতে পাওয়ার পর সর্বত্র নিন্দার ঝড় ওঠে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারিক সালমন জানায়, তিনি আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার থাকা অবস্থায় গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ১৭ মার্চ আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসন শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ নামে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কৃতদের হাতে আকা ছবি ব্যবহার করে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র ছাপানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী কার্ডে দেয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটি একেছে আগৈলঝাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনির শিক্ষার্থী অদ্রিজা রুর তার হাতে আকা ছবি ব্যবহার করে ওই আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়। এবং সেই আমন্ত্রণপত্রে বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে শিক্ষার্থীর নাম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।