বরেণ্য অভিনেতা আবদুর রাতিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার বাদ আসর রাজধানীর স্বামীবাগে পারিবারিক কবরস্থানে গুণী এই অভিনেতার দাফন সম্পন্ন হয়।
বিকেল সাড়ে ৩টায় বিএফডিসিতে রাতিনের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এফডিসির জহির রায়হান কালার ল্যাবের সামনে রাখা হয় রাতিনের মরদেহ। সেখানেই একে একে এই গুণী শিল্পীকে ফুল দিয়ে সম্মান জানান চলচ্চিত্রশিল্পী ও কলাকুশলীরা।
নায়ক আলীরাজ, ওমর সানি, জায়েদ খান, সাইমনসহ শিল্পী ও কলাকুশলীরা জানাজায় অংশ নেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
অভিনেতা আবদুর রাতিনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে চিকুনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে তার কিডনি ও লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েন এবং গত ৬ জুলাই ব্রেন স্ট্রোক করেন।
পরে গত ৯ জুলাই তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাতিনকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রাতে সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অভিনেতা রাতিন অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৭০ সালে মোস্তফা মাহমুদ পরিচালিত ‘নতুন প্রভাত’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘দেবদাস’, ‘হারানো সুর’, ‘শুকতারা’, ‘জবাব চাই’, ‘স্নেহের প্রতিদান’, ‘চোরের বউ’, ‘মহান বন্ধু’, ‘লালু সর্দার’, ‘স্বার্থপর’ প্রভৃতি। তার অভিনীত মঞ্চ নাটকের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।